সুজন আলী,রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে উত্তরাঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এর প্রভাবে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। গেল কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সাথে গুটিও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র তাপদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা।
রাণীশংকৈল উপজেলায় হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ, বারি ৪, মল্লিকাসহ নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝড়ে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভান্ডারার লিচু চাষী কামাল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল, কিন্তু অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং ছবিতে নিয়মিত সেছ দিচ্ছি, একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরেপড়া ঠেকাতে পারছিনা।আম চাষী রাব্বি ইসলামের সাথে কথা হয়, তিনি জানান,এবছরের তাপদাহ খুব বেশি, এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে, বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা, এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছে, ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।
রাণীশংকৈলে পৌর শহরের আম চাষী সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তিনি জানান নিয়মিত ভাবে আমরা সেচ দিয়ে যাচ্ছি, তারপরও আম ঝরে যাচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে ডিজেলের যে দাম লেবার খরচ বেশি, নির্মিত সেচ দিতে হলে আমাদের বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ উপজেলায় ৬'শত হেক্টর আম ও ৬০ হেক্টর লিচু বাগান রয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের নিয়মিত সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি,সেচের কোনো বিকল্প নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.