বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র। স্বেচ্ছাসেবীরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। যেকোনো বিষয় জানতে এবং জানাতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মোট ৫টি মেডিকেল টিম। এছাড়া, উপজেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য ২টি ট্রলার প্রস্তুত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতি হতে পারে এমন শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে চারটি ইউনিয়নকে। এর মধ্যে রয়েছে; ধলীগৌরনগর, লর্ডহার্ডিঞ্জ, বদরপুর এবং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষে জনসচেতনতায় ইউপি চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। এছাড়া, আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের খাবারের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শুক্রবার রাতে বৃষ্টি-বাতাস হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে লালমোহনে আবহাওয়া থমথমে রয়েছে। আকাশ মেঘলা। নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে।