মোঃ হামিদুল ইসলাম,রাজারহাট,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, চলতি জাতীয়।
অর্থ বাজেটেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি করছি। ১ জুন ২০২৩ বেলা ১২.০০ টায় ‘স্তব্ধ রাজারহাট ” কর্মসূচি পালনকালে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চির বৈষম্য বঞ্চনা শিকার উত্তরাঞ্চলের মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সারা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও রংপুর বিভাগ থেকেছে বঞ্চিত। আন্দোলন সংগ্রাম করা ছাড়া কোনকিছুই আমরা পাই নাই। তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ এর রাজারহাট উপজেলা আহ্বায়ক সাজু সরকার বলেন, সারা বাংলাদেশের দারিদ্র্য কমলেও রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য ৪৬ শতাংশ। এই দারিদ্র্যের অন্যতম কারণ নদী ভাঙ্গন এবং কর্মসংস্থানের অভাব। এই সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সকল প্রকার সমীক্ষার কাজ সমাপ্ত করেছেন। নানা রকম ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ আটকে আছে। আমরা চীন, ভারত, আমেরিকা বুঝি না, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ এর নেতারা বিভিন্ন বক্তব্যে বলেন, সারা দেশে তিন লক্ষ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ চললেও দারিদ্র্য পীড়িত উত্তরাঞ্চলে কোন মেগা প্রকল্প নাই। আজকের স্তব্ধ কর্মসূচি আমলে নিয়ে রংপুর বিভাগের বৈষম্য দুর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও রাজারহাট উপজেলা আহ্বায়ক সাজু সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্তব্ধ কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক রাজারহাট উপজেলা আওয়ামিলীগ, জেলা পরিষদ সদস্য এনামুল হক, অজয় কুমার সরকার সভাপতি চাকিরপশার ইউনিয়ন যুবলীগ, মোশাররফ হোসেন, আসাদ হোসেন, শাহ আলম সরকার কীরণ, সুমন,হাফেজ জাহেরুল ইসলাম, বখতিয়ার হোসেন শিশির, সদস্য স্ট্যান্ডিং কমিটি, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মী বৃন্দ।