উপজেলা পুঠিয়া প্রতিনিধি,মোঃমিজানুর রহমান কালুঃ পুঠিয়ায় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য নাজমুল ইসলাম সুমন ও ঝলমলিয়া হাট ইজারাদারের উপর অতর্কিত নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে ঝলমলিয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে এবং অবসর প্রাপ্ত সসস্ত্র বাহিনী ঐক্যজোট রাজশাহীর ব্যানারে ঝলমালিয়ায় সকাল ১০.৩০
মিনিটে
ও পুঠিয়া পিএন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে সকাল ১১.৩০ মিনিটের দিকে এ মানবন্ধন পালন করা হয়।
পাশাপাশি মঙ্গবার ১১ জুলাই একই দিন বিকেল ৫ টার সময় এক বিশাল প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শান্তিকামী সচেতন পুঠিয়া।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক সংলগ্ন পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ মানব ন্ধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, হামলার শিকার নাজমুল ইসলাম সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম ইয়া হিয়াসহ অবসার প্রাপ্ত সেনা সদস্যগণেরা।
এসময় বক্তার হালাকারীদে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসেনর প্রতি জোর দাবি জানান। এছাড়াও এসব সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের সাথে জড়িতদের সহযোগিতা যারা করবে তাদের প্রতি হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
পরে বিকেলে এক বিশাল প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শান্তিকামী সচেতন পুঠিয়াবাসি। এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শান্তিকামী সচেতন পুঠিয়াবাসির পক্ষে, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান, এবং তিনি বলেন, এই নৃশংস হামলার বিচার দাবি করছি। বিচার নাহলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস ছামাদ। নাজমুল ইসলামের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি বলেন, এই জনপদে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক আহসানুল হক মাসুদের নেতৃত্বে ( সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী জেলা আ’লীগ) এই হামলা করা হয়।
এ ঘটনার জন্য আহসানুল হক মাসুদ ও তার বাহিনীকে দায়ী করেন তিনি।
এসময় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু তার বক্তব্যে বলেন, খুব দ্রুত সকল আসামিদের ধরে আইনের আওয়ায় আনতে। আমরা এই নৃশংস হামলার কঠিন বিচার চাই। আমার অনুরোধে, আমার মাধ্যমেই সুমন রাজনীতিতে এসেছিলো। এখন আমি কি বলে তার পরিবারকে শান্তনা দিবো। আমি যদি ভুল না করে থাকি, ওই কুলাঙ্গার মিঠু কোনো ছাত্র রাজনীতি করেনি। একজন ছাত্র রাজনীতিবিদের এমন আচরন হতে পারেনা। পুলিশ যদি বলে আমরা আসামি খুজে পাচ্ছিনা, তা হবে না। আসামিদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এবং আসামিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামীকালও আমরা কর্মসুচি পালন করবো।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক, সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক পুঠিয়া পৌর মেয়র। জুয়েল খলিফা, সাধারণ সম্পাদক পুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। শরিফুল ইসলাম টিপু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
উল্লেখ্য গত রবিবার (৯ জুলাই) বিকাল ৫টায় সৈয়দপুর থেকে ঝলমলিয়া আসার পথে মধুখালি ব্রিজ সংলগ্ন এলা কায় কিছু দুর্বত্তকারীরা চাইনিজ কুড়া ও চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.