স্বপন কুমার রায়,খুলনাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২২ হাজার ১০১ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ১২ জেলার সকল উপজেলাসহ ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে দেশের তিনশত ৩৪টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ‘বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী’ প্রান্তে যুক্ত হয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন।
এসময় তেরখাদা উপজেলার বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ এবং এর অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে রূপসা উপজেলার ১০০টি, তেরখাদার ১৮৬টি, ডুমুরিয়ার ১২০টি, পাইকগাছার ৬৮টি, দাকোপের ৪২টি, বটিয়াঘাটার ২৫০টি, দিঘলিয়ার ৬৬টি, কয়রার ১০০টি এবং ফুলতলা উপজেলার ৫৫টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যদিয়ে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত হয় ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা পাঁচ হাজার পাঁচশত ২৯টি। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি পরিবারের মাঝে জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১৮১৯টি। ইতোমধ্যে চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫৭টি গৃহ হস্তান্তর করেছেন। আজ খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে মোট নয়শত ৮৭টি গৃহ হস্তান্তরের ফলে জেলায় মোট ৫০৭৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.