পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, সরকার এ বছর প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
২৮ আগস্ট তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিন হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। পরিবারগুলো যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি শুরু করলে তারা হাতে তিন মাস সময় পাবেন।
তিনি বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে এখানে আসবে।
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, এই নির্যাতিত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস এবং প্রতিবছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম হওয়ায় সঙ্কট আরো জটিল হয়ে উঠছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরো বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান না নিয়েই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সঙ্কট।
এতে বলা হয়েছে, এত দীর্ঘ সময় ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতিতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের উৎপত্তিস্থলে এই সঙ্কটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কর্তব্য।’
রোহিঙ্গারা তাদের দক্ষতার বিকাশ ঘটাচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে এবং তাদের শিশুরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে তাদের ভাষায় শিক্ষার সুবিধা গ্রহণ করছে। যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখতে পারে এবং ফিরে যাওয়ার পর রাখাইন সমাজের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে।
সূত্র : ইউএনবি
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।