আনোয়ার হোসেন,লক্ষ্মীপুরঃ বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্য ভান্ডার লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আমন ধানের চারা রোপন করে এখন স্বস্তিতে রয়েছে কৃষক।
জানা যায়, অবৈধ ইটভাটা আর কৃষি জমির টপসয়েল নিয়ে যাওয়া মাটি খেকো শকূনদের কু-দৃষ্টির মধ্যেও টিকে আছে এ চরাঞ্চলের উর্বর পলি মাটির কৃষি। রোপা আমনের বীজতলায় পানি সংকটে প্রথম দিকে সমস্যায় থাকলেও যথা সময়ে বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষককে পানির জন্য বা অতিবৃষ্টির জন্য আমন চাষে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ২৩৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমত্রা নির্ধারণ করা হয়। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি কিংবা কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেয়ার প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চারা রোপন করে মোটামুটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে কৃষক। বিস্তির্ণ ফসলী জমিতে এখন দেখা মেলে সবুজময় আমন ধানের চারা।
কৃষক রুহুল আমিন সহ অনেক কৃষক বলেন, আমন ধানের চারা রোপন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্য ভান্ডার বর্তমানে অবৈধ ব্রিকফিল্ডের কালো ধোঁয়ায় আর জমির টপসয়েল নিয়ে যাওয়ায় কৃষির সমূহ ক্ষতি হচ্ছে।
তাই কৃষকরা এখনি অবৈধ ব্রিকফিল্ডগুলো বন্ধ এবং নতুন করে স্থাপন করতে না দেয়ার দাবী জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হযরত আলী জানান, আমাদের মোট ফসলী জমির মধ্যে রোপা আমন ধান চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে বীজতলা সহ সামান্য কিছু জমি রোপনের বাকি রয়েছে। আশাকরি সেগুলোতে কয়েকদিনের মধ্যে চারা রোপনের কাজ শেষ হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.