শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। তবে রাখাইনের যে স্থানে রোহিঙ্গারা থাকবে সেখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে যেতে দিতে দ্বিধায় নেপিদো। ফলে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে ধীর গতি দিয়েছে ঢাকা।
চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি যাচাইকৃত তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে উপস্থিতির বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। তবে এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে কোনো উত্তর দেয়নি মিয়ানমার।
চলতি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। দলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা ও মনোবল বাড়ানো এবং প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর কাজটি করবে। সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও জড়িত ছিল প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের আসার সম্ভাব্য দিনক্ষণ দেবে ঢাকা।
বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল, ফলে বাংলাদেশ খুব সতর্কতার সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঢাকার অন্যমত অগ্রাধিকার, তবে সেই সঙ্গে এটি টেকসই করার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই রাখাইনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.