এম এ হানিফ রানা - সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গত দুই দিনের বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে গাজীপুরের অনেক স্হান। এটা নতুন নয়, তবে বাহানা গুলো দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের কাছে নতুন নতুন ভাবে শুনতে হয় ঘটনার পরে। উন্নয়নের ফুলঝুরি শুনালেও বাস্তবে সেই উন্নয়ন কমই ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। গাজীপুর সিটির ২৭ নং ওয়ার্ডের গনির টেকের নিয়ামত সড়ক থেকে নীনা মোস্তফার বাড়ী হয়ে কলাবাগান সড়কের সাথে মিলিত রাস্তার ভয়াবহ চিএ সবারই জানা। রাস্তা সারা বছরই পানির তলে। রাস্তা মুছে সেখানে জঙ্গল হয়ে আছে। ফলে হাজার হাজার মানুষের অনেকখানি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে। আর অল্প বৃষ্টিতেই বাড়িঘরের ভীতরে পানি ডুকে যাচ্ছে। সেই সাথে দূষিত পানির সাথে সাপ ও বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয় তো আছেই। এই রাস্তা নিয়ে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ আলী জবের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও বিভিন্ন বাহানায় এড়িয়ে যাচ্ছেন বারবার। যেনো উন্নয়নের চেয়ে বাহানা বেশি। সাধারণ মানুষদের ভাষ্য গত ১২ বছরেও এই রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। অথচ একি কাউন্সিলর আছেন তিন মেয়াদে রানিং। শুধু এই রাস্তাই নয়, জয়দেবপুর বাজার রোডেও অল্প বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের সঠিক উদ্যোগ না থাকায় এই ভোগান্তিতে পরছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষজন। গনি মুন্সির টেক, বাজার রোড, চৌরাস্তা সহ অনেক জায়গাতেই হাটু পানির উপরে। ৪ তারিখ বৃষ্টিতে চিএ ছিল আরো ভয়াবহ। যারা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন সকালে তারা রাত গভির রাতেও বাসায় ফিরতে হিমসিম খেতে হয়েছে। কারন রাসৃতা ভাঙ্গার পাশাপাশি গভির জল। গাজীপুরের উন্নয়ন কাজ চলছে কয়েকবছর ধরে। ফলে ভাঙ্গা খানাখন্দের জেলাতে পরিনত হয়েছে গাজীপুর। ধীরগতির কারনে সেই ভোগান্তি আরো চরমে পৌছেছে। অল্প বৃষ্টি বা পানি জমলেই জনজীবনে দূর্বিষহ চিএ ফুটে উঠে। বিভিন্ন পানি বন্দী জায়গা পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে উন্নয়নের নামে ধীরগতি আর সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্হা না থাকার ফলে অল্প বর্ষনেই পানি জমে যাচ্ছে গাজীপুরের অনেক স্হানে। যদি দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগন কথার ফুলঝুরি না বিছিয়ে সঠিক ভাবে এ সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করে কাজ করতেন তবে মানুষের এমন দূর্বিষহ কষ্ট ভোগ করতে হতো না বলে তারা মনে করেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।