মোঃ রায়হান জোমাদ্দার স্টাফ রিপোর্টার ইলিশ শিকার বন্ধে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বরিশালে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। গতকাল রাত ১২টা থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক টিম কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরা বন্ধে নৌ টহল শুরু করেছে। এই ২২ দিন সাড়ে ৩’শ নৌ পুলিশ নদী ও খালে নিয়োজিত থাকবে। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো- বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর। এছাড়া দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে চাঁদপুর থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চর পিয়াল থেকে মেঘনার শাহবাজপুর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর চর রুস্তম ও তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরে নরিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় মেঘনার ২০ কিলোমিটার ও বরিশালের হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দেওয়া হবে। এ সময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।