বাকপ্রতিবন্ধীর কোলজুড়ে এলো ফুট 'ফুটে কন্যা সন্তাান খোঁজ মেলেনি পরিবারের মোঃ কামাল হোসেন খাঁন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: বাকপ্রতিবন্ধী অনন্যার কোল জুড়ে এলো এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। শনিবার বিকেলে তার সন্তানের জন্ম হয়।তবে এখনো মেলেনি তার পরিবারের সন্ধান।পাগলীর এই ফুটফুটে কন্যা সন্তান দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ছুটে আসছে মহাসিন আলীর বাড়িতে।আশ্রয়দাতা মহাসিনের বাড়ি ভোরে উঠেছে আনন্দে।পাগলির ফুটফুটে সুন্দর কন্যা দেখে সকলের হৃদয় জুড়ে যাচ্ছে।তবে সবাই এখনো চেয়ে আছে এই বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি ফিরে পাক তার পরিবার।কন্যা সন্তানটির নাম রাখা হয়েছে 'ফাতেমা'। স্থানীয়রা জানান,আজ বিকেলে সেই বাক প্রতিবন্ধী পাগলী কন্যা সন্তানের মা হয়েছে।আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।কন্যা সন্তানকে দেখে একেবারে ফুলের মত লাগছে।আল্লাহর রহমতে অপারেশন করা লাগলো না খুব ভালো হলো।কারণ অপারেশন হলে খুব কষ্ট হতো পাগলীর। প্রতিবেশী টুটুল আহমেদ বলেন,আলহামদুলিল্লাহ কন্যা সন্তানের মা হলেন সেই বাক প্রতিবন্ধী অনন্যা।মেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে।কোন অবহেলা হবে না।আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েই তার যত্ন করছি।আমরা পরিবারের সবাই খুব আনন্দে রয়েছি। বাড়ির মালিক মহাসিন আলী বলেন,আমার মেয়ে হওয়ার সময় যে আনন্দ পেয়েছিলাম আজ যেন আমার ঘরে সে আনন্দ ফিরে আসলো।আল্লাহর রহমতে সেই অনন্যা পাগলী কন্যা সন্তানের মা হয়েছে।কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে 'ফাতেমা'।মনের মাঝে এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করছে।পাগলির এই কন্যা সন্তানের দিকে তাকালে মন ভোরে যাচ্ছে।কি অসম্ভব সুন্দর কন্যা সন্তানটি। তিনি আরো বলেন,গতকাল যখন তার পেটে যন্ত্রণা করছিল আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। ডাক্তার বলেছিল ২০ থেকে ২১ দিন পর বাচ্চা হবে।কিন্তু আল্লার কি রহমত একদিন পরেই অপারেশন ছাড়াই নরমালে বাড়িতে বাচ্চা হয়ে গেল।পাগলীর ধারে তাকালে খুব কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে সে কোন অজানা কষ্ট নিয়ে কোন কথা বলছে না।তার সন্তান হয়েছে কিন্তু সে কিছুই বুঝছে না অবাক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়েই রয়েছে।কন্যা সন্তান হওয়ার সংবাদ শুনে ২ - ৩ নিতেও চেয়েছে কিন্তু আমি বলেছি অসম্ভব এ কন্যা সন্তান আমি কাউকে দেব না। কারণ কোন সময় তার পরিবারের খোঁজ হলে তাদের হাতে তুলে দেব। আশ্রয়দাতা জোসনা খাতুন বলেন,আমি সন্তানের মত তাকে দেখাশোনা করেছি কোন কষ্ট হতে দেব না।সন্তানের দিকে তাকালে আনন্দে ভিতর থেকে কাঁন্না বের হচ্ছে।আল্লাহ পাগলীর কোল জুড়ে এক ফুটফুটে সুন্দর কন্যা দান করেছেন।আমি নানী হলাম। আমরা সবাই মিলে তার সর্বোচ্চ সেবা করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন,আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি আল্লাহ যেন তার পরিবারের খোঁজ দ্রুত মিলিয়ে দেন।আমরা চাই সে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাক। হয়তো তার পরিবারও তাকে খুঁজছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। গ্রাম্য চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল বাকী বলেন,পাগলীর কন্যা সন্তান হওয়ায় আমরাও খুব আনন্দিত।আমি তার চিকিৎসার জন্য টাকা নেয়নি।ওষুধপত্র যা লাগবে সব দিয়ে দিচ্ছে। বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন,পাগলীর কোলজুড়ে ফুটফুটে সুন্দর কন্যা সন্তান আসায় আমরা সবাই আনন্দিত।আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে সহযোগিতা করেছি।পাগলীর যাতে কোন অবহেলা না হয় সেজন্য বাড়ির মালিক মহসিন আলীকে বলেছি।আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।আমি বিষয়টি দেখভালের জন্য ইউএনও মহোদয়কে অনুরোধ করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.