মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েল বলেছেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিএনপি মাঠে দাঁড়াতে পারেনি। যুবলীগের কর্মীরা প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছিল। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএনপির অফিস বন্ধ ছিল। বিএনপি'র কোনো লোকজনকে মাঠে দেখা যায়নি। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি-ঘোড়া চলছিল। দোকানপাট সবকিছু খোলা ছিল। বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চাইলে তাদেরকে আমরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা যেভাবে নির্দেশনা দিবেন আমরা রাজপথে সেভাবেই থাকবো। এখানে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কারো দরকার নেই, যুবলীগ যতক্ষণ পর্যন্ত আছে। যুবলীগ একাই মাঠে সংগ্রাম করার জন্য যথেষ্ট। যখন আমরা পারবো না তখন আওয়ামী লীগ ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগকে খুঁজবো। যেকোনো অপীতিকর ঘটনা যেন এখানে না ঘটে সে জন্য আমরা যুবলীগ এখানে সজাগ রয়েছি । তিনি গতকাল সন্ধ্যায়, বিএনপি জামাত কর্তৃত পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস এবং হরতালের বিরুদ্ধে সমাবেশে একথা বলেন, এর আগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিল শেষে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে তারা। অবস্থান কর্মসূচিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চৌরাস্তায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের ও যুবলীগের যৌথ আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । সমাবেশে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীর কুমার রায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম সুমন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মজিবর রহমান প্রমুখ ।