কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:০১-১১-২৩ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের একটি দুই একর পুকুরে বিষ জাতীয় গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে প্রায় ৭০মণ মাছ যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ লক্ষাধিকেরও বেশি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে উমর মজিদ ইউনিয়নের ধনঞ্জয় এলাকার মৎস্যচাষি আব্দুর রাজ্জাকের পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আব্দুর রাজ্জাক বেসরকারি চাকরি ছেড়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ বেঁচে নেন। প্রথমে শখের বসে মাছ চাষ করলেও গত বছর ধরে বানিজ্যিক ভাবে মৎস্য চাষে ঝুঁকে পড়েন।মৎস্য খামারটি স্বামী স্ত্রী মিলে দেখাশুনা করেন এবং এই মাছ চাষ করে পরিবারের ভরণপোষণ চালাতেন।প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৎস্য খামার থেকে রাত তিনটার পর বাড়ি চলে আসলে পরদিন সকালে পুকুর পাড়ে গিয়ে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। তার প্রজেক্টের পুকুরে কার্ফু, গ্লাস কার্প, সরপুঁটি, কাতল, রুই, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, শিংসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আমার পুকুরে বিষ জাতীয় গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে পুকুরের সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠা দেখে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অনেক চেষ্টা করেছি মাছ গুলোকে বাঁচানোর। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই অপূরনীয় ক্ষতি করেছে। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। দূর্বৃত্তরা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো।আমি রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। চাই প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার করুক। আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী স্মৃতি বেগম অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন,আমরা স্বামী স্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে এই প্রজেক্ট করে আসছি।এ আয় থেকে আমাদের সংসার চলে। সন্তানের লেখা পড়ার খরচ দেই। কি এমন শত্রুতা যে রাতে কেবা কারা পুকুরে বিষ জাতীয় গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। এখন আমাদের কী হবে। যারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তাদের বিচার চাই আমি। প্রতিবেশী আকরাম হোসেন বলেন,মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সাথে শত্রুতা করে এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। কে বা কারা রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছ গুলো মরে ভেসে আছে। গন্ধে বাড়িতে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। কুড়িগ্রাম রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল জামান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.