স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ও দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশর সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী সহ সকল সম্পাদায়কে দীপাবলি ও শ্যামাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার এমপি।এমপি ঝর্ণা
বলেন, হিন্দুদের কাছে, দীপাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।সাধারণত বাড়িতে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালী প্রতিমার নিত্যপূজা হয়ে থাকে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত সাংবাৎসরিক দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই দিন আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা রাত্রিব্যাপী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র রাবণ বধ করে অযোধ্যায় আসলে প্রজারা তাঁকে স্বাগত জাননোর জন্য রাতব্যাপী অযোধ্যায় আলোকসজ্জা করে। অসুর শক্তির পরাজয়, মন্দ শক্তির পতনের এই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে অযোধ্যার প্রজারা যেভাবে আলো আর উৎসবের আয়োজন করেছিল সেই ধারাবাহিকতায় আজও বিশ্বব্যাপী হিন্দুরা অসত্যের পরাজয় আর সত্যের জয়কে স্মরণ করতে দীপাবলীতে আলোর উৎসব করে থাকে। এমপি ঝর্ণা বলেন, দীপাবলীর অন্য তাৎপর্য হচ্ছে শ্রীশ্রীকালীপূজা ও দীপাবলী অনুষ্ঠিত হয় কার্তিক মাসে। কার্তিক মাসটি মৃতের মাস বলে পরিগণিত। এই মাসে মৃত পিতৃপুরুষদের গতিপথ আলোকিত করতে আকাশপ্রদীপ জ্বালানো হয়। মৃত পুরুষদের মুক্তি কামনায় এই আলোর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। যেহেতু মাকালী কালভয়হারিণী, ত্রিনয়নে তার চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি অনন্ত কোটি প্রদীপ্ত তারকা তাই তিনিই পিতৃপুরুষদের পথপ্রদর্শক। তাঁর আলোকেই অন্ধকার থেকে জ্ঞানের পথে, যমলোক থেকে শাশ্বত মুক্তির পথে মানুষ গমন করতে পারে এই বিশ্বাস থেকে দীপাবলীর সাথে কালীপূজা জড়িয়ে আছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কালীপূজা আর দীপাবলীর মত পূজা-উৎসব ঘোর অমাবস্যায় আর একটিও নেই। সন্ধ্যায় আলোর উৎসব দীপাবলী আর মধ্যরাতে করাল-বদনী কালীর পূজা। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শক্তির দেবী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কালী পূজা বা শ্যামা পূজার আয়োজন করে আসছেন। এ উপলক্ষ্যে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। যে রাত, দেবীর গায়ের বর্ণের মতনই ঘোর কালো। মূলত ঋক বেদের ‘রাত্রি সূক্তে’ যে দেবীর খোঁজ মেলে তাঁকেই কালীর আদি সূত্র বলে মেনে নেওয়া হয়। প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলীর সন্ধ্যায় তেল দিয়ে সহস্র মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার মাটির প্রদীপের পরিবর্তে কলাগাছের খোলে প্রদীপ জ্বালানোও লক্ষণীয়। এখনও অনেক স্থানে এ সব প্রথা চালু আছে। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে অনেকে তেলের প্রদীপের পরিবর্তে মোমবাতি ব্যবহার করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ বিশ্বাস করেন অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক শুভ দেওয়ালী বা দীপাবলী। অশুভ অকল্যাণের প্রতীক অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এ উৎসব পালন করা হয়। সুখ, শান্তি, জ্ঞান ও সম্পদ দেওয়ার জন্য এ উৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।