পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার নেছারীয়া সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসি। অন্যদিকে অভিযোগের বিষয় গুরুত্ব না দিয়ে নিয়োগ দিতে গেলে নিয়োগ পরীক্ষার সময় মাদ্রাসা মাঠেই মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। এরপরে তারা বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে দুজনকে ওই দুই পদে নিয়োগের জন্য আগেই নির্ধারন করে। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে এলাকাবাসী গত ২২ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে নিয়োগ স্থগিত করে নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেয়ার জন্য আবেদন করেন। গত ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে মাদ্রাসাতেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষার সময় মাদ্রাসা মাঠেই স্থানীয় এলাকাবাসী নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন। কিন্তু নিয়োগ কমিটি এসবের তোয়াক্কা না করে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলামের ভাই খাদেমুল ইসলাম এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি। নিয়োগ কমিটি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির দুই কাজের লোককে এই দুই পদে নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ডেন্ড খাদেমুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকেই নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন।
মাদ্রাসার পাশের গ্রাম বড়দাপ এলাকার আবুল কাশেম জানান, প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে আমরা দীর্ঘকাল থেকে পরিশ্রম করেছি। বিনামূল্যে জমি দান করেছি। অথচ এলাকার একটি ছেলেকেও চাকুরি দেয়া হচ্ছেনা। টাকার বিনিময়ে অন্য লোকদের এনে চাকুরী দেয়া হচ্ছে। শুনেছি আয়া পদে যাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তার কাছ থেকে ১৪ লক্ষ এবং নৈশ প্রহরী পদে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার কাছ থেকে ১৬ লক্ষ্ টাকা ঘুষ নিয়েছেন নিয়োগ কমিটি। নিয়োগ প্রাপ্ত দুজনই উপজেলা চেয়ারম্যানেরর বাড়ির কাজের লোক। আমরা গরীব মানুষ। দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ কথা বলেনা।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সুপারেনটেন্ডেন্ড খাদেমুল ইসলাম জানান, কাকে যে নিয়োগ দিলাম তাদের নাম এই মুহুর্তে মনে নাই। আপনি একটু সভাপতি সাহেবের সাথে কথা বলেন। তিনি সবকিছু বলতে পারবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি খাদেমুল ইসলাম জানান, কোন নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির কাজের লোককে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যারা মাদ্রাসায় জমি দান করেছেন তারা জমির মুল্য চাচ্ছেন কেন তাহলে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল মালেক জানান এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানিনা। জেনে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেবো।
বাঁধন প্রধান
পঞ্চগড়/২৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.