মোঃ ওসমান গনি, ইলি কক্সবাজারঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা নূরনাহার নামে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তার মেয়েকে আটকের পর তার নিজ ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে চকোরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা । বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলী এলাকা রোহিঙ্গার নব্য বসতবাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান অভিযানের সময় আটক নুর নাহার থেকে বাংলাদেশী ভোটার কার্ড ও জন্মনিবন্ধন কার্ড সহ নানান পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন টেকনাফ ক্যাম্প থেকে আসা আলোচিত রোহিঙ্গা নুর নাহার সহ তার এক মেয়েকে ভ্রাম্যমান অভিযানের মাধ্যমে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আটককৃত নুর নাহার মোচনী ক্যাম্পের ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ইউএনএইচসিআর)এর নিবন্ধিত (ফুড কার্ড নং-২৬৫২৫-এ) উপকারভোগী। এই রোহিঙ্গা টাকার বিনিময়ে গত ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যম টেকপাড়ার ঠিকানা দেখিয়ে পৌরসভার বাসিন্দা মৃত লোমান হাকিম আর নুর বাহারকে মা-বাবা বানিয়ে ১৯৮১২২২৬৬০৪১৬৫২০৭ জন্মনিবন্ধন উত্তোলন সহ ভোটার হন,ভোটার নং-৯১১২১৩২৫৩৬। সেই সাথে পানি পথে মালেশিয়া যাওয়া নুর নাহারের প্রবাসী স্বামী মোঃ রশিদ এর নামে একই পৌরসভা থেকে আমির হামজা আর জোহেরা খাতুনকে মা-বাবা বানিয়ে গত ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জন্মনিবন্ধন উত্তোলন করেন,যার নং-১৯৯৯২২২৬৬০৭১৬৬৮১২।
রশিদ প্রবাসী হলেও নুর নাহার বর্তমানে খুটাখালীর ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলীর বাসিন্দা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরো বলেন,ধৃত রোহিঙ্গার বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিড়িয়া সংবাদ প্রকাশ সহ স্বাধীনতার স্বপক্ষে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন থেকে কঠোরভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এই তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ওই রোহিঙ্গা নারী সহ সাথে থাকা তার এক কন্যা সন্তানকে আটক করতে সক্ষম হই। এ সময় তার বানানো বাংলাদেশী সকল পরিচয়পত্র জব্দ করি এবং তাকে চকরিয়া থানার মাধ্যমে টেকনাফ মোচনী ক্যাম্পে পাঠানোর আইনগত ব্যবস্থা করেছি। অভিযানে সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ – ফুলছড়ি) শীতল পাল, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ, ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন, মেদাকচ্ছপিয়া + খুটাখালী বিট কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল সহ সংশ্লিষ্ট অফিসের এফজি, ভিলেজার, বিজিবি, আনসার ও চকরিয়া থানার পুলিশ সদস্যসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাকে আটকের সময় তার বসত বাড়িটি জব্দ করে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই রোহিঙ্গা যাতে আর কখনো বানানো দেশীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে না পারে বাতিলে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ সহ রোহিঙ্গা ডকুমেন্টস পাঠানো হবে। স্থানীয়রা বলেন দুই বছর ধরে তাদের নির্যাতন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। ছেলে একটা আছে আলিকিন এর সদস্য। সেই সব সময় এলাকায় খারাপ কাজে লিপ্ত তাকে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসীও ডাকাত মানব প্রচারকারী জকির ডাকাত এর বেইয়ান নুর নাহার ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে এলাকার যুবকদের দিয়ে প্রচার করে। কিছু দিন আগেও তার ছেলে টিউবল চুরি করে জনতার হাতে মার খেয়েছ বলে অভিযোগ করেন। রোহিঙ্গা পরিবারটি কে এলাকা থেকে তাড়ানোর জন্য ইউএনও মহোদয় প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.