আরিফুজামান চাকলাদার: বি.এন.পি যখন নির্বাচনে আসলো না আমি বি.এন.পির চেয়ায়পার্সন খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার সাথে কথা বললাম, নির্বাচনে অংশ গ্রহণের অনুরোধ করলাম কিন্তু তারেক জিয়া বলল, তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে বি.এন.পি নির্বাচন করবে না। তখন আমি আমার ফরিদপুর ১ আসনের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে জেল থেকে মুক্ত করতে এবং পরবর্তীতে অন্যায় অত্যাচার ও জেল, জুলুমের হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ জাতীয় ও আআন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে শেখ হাসিনার উপর সুতরাং ২০২৪ এর নির্বাচন এবার সুষ্ঠু হবেই।
গত ৩ জানুয়ারি (বুধবার) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে একটি জনসভায় এমন বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
শাহ জাফর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগে ১৯৬৯ ও ৭০ এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ৭০ এ ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ভিপি হন এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর বৃহত্তর ফরিদপুর সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ফরিদপুর ১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে নিয়ে শাহ জাফর বলেন, নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান আজকে আওয়ামিলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আমার শিষ্য ছিলেন, দোলন সাহেবের বাবা বালামও আমার শিষ্য বোয়ালমারী কলেজে ছাত্রলীগ করেছিল। আব্দুর রহমানের আমলে তার নামে অনেক দূর্নীতি হয়েছে তিন উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা। টাকা ছাড়া চাকুরী হয় নাই। তার আচার-আচরণেও এই এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ।
দোলন সাহেব রাজনীতি করেন নাই, তার রাজনৈতিক ট্রেনিং নাই, আওয়ামীলীগের নোমিনেশন চেয়েছে, কিন্তু আওয়ামিলীগে তার কোন পদে নাই। সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফের ভাগ্নি জামাই পরিচয়ে দুর্নীতি করে হটাৎ টাকার মালিক হয়ে টাকা দিয়ে এম,পি হতে চান। দোলন সাহেবকে বলব, আপনি আসেন রাজনীতি করেন, শিখেন, ট্রেনিং নেন তারপর এম,পি হন।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, এ দেশ স্বাধীন করেছি বৃহত্তর ফরিদপুরের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলাম, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাকে হারিয়ে দেয়া হলো। ২০১৩ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভোটে কারচুপি এবং ২০১৮তে দিনের ভোট রাতে কেটে ডাকাতি আমাকে পরাজিত করেছে কিন্তু জনগণের ভোট দেয়ার সুযোগ থাকলে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিপুল ভোটে এই এলাকার এমপি হত। এটা আমার জীবনের শেষ নির্বাচন, মৃত্যুর আগে আমি শেষবারের মত আপনাদের নিকট নোঙর প্রতিকে ভোটা চাইছি,আমাকে শেষ বাবারের মতো এমপি বানান দুই হাত করোজরে ভোট চান। এই এলাকার উন্নয়নে আমি কাজ করব, সকল সুদ, ঘুষ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই।
স্বেচ্ছা সেবকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদের পরিচালনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাহের আহমেদ শুভ, আলফাডাঙ্গা ওলামালীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকি প্রমূখ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.