মোঃ মামুন হোসেন, বেনাপোল: যশোরের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধানের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ভোরে কোদাল-কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা।
এ বছর যশোরে মানসম্পন্ন ইরি-বোরো ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। যার ফলে ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও বেশি উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর।তবে কৃষক চিন্তিত- কনকনে শীত ও শৈত্যপ্রবাহে ইরি -বোরোধানের বীজতলা নষ্ট হওয়া ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে।
সরেজমিনে যশোরের শার্শা,ঝিকরগাছা,চৌগাছা,ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন, জমি প্রস্তুত করতে এখন ব্যস্ত তারা।বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক এখন ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ মই-কোদাল দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন।কেউ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে করছেন জমি চাষের কাজ। আবার কেউ জমিতে সেচ ও জমির আইল বাঁধছেন।
জানা গেছে, বর্তমান আবহাওয়া ইরি- বোরো বীজ বোপনের উপযোগী থাকায় যশোরের সব উপজেলায় বীজতলার কাজের পর এখন জমি তৌরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।যশোরের কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক প্রতাপ মন্ডল বলেন,চলতি মৌসুমে যশোরে ১লক্ষ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইরি-বোরো চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।পুরো ইরি-বোরা আবাদ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে ও কীটপতঙ্গ এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ কোনো রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় না দেখা দিলে এবার যশোরে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.