মো:আসাদুজ্জামান সনেট, কালিগঞ্জ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে থ্রী-ফেইজ মিটার বন্ধ থাকলেও চলছে সেচ কাজ। গ্রাহক বলছে প্রায় এক বছর ধরে মিটার নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, আর বিদ্যুৎ অফিস বলছে এক মাস আগে মিটারটি নষ্ট হয়েছে। নষ্ট মিটার নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন বারবাজার মষেহাটি গ্রামের মসিয়ার বিশ্বাসের ছেলে উজ্জল হোসেন। উজ্জল হোসেন জানান, বারবাজার মিঠাপুকুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে রাজুর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি প্রায় এক বছর আগে থ্রী-ফেইজের এই লাইনটি কিনেছেন তখন থেকেই মিটার বন্ধ ছিলো। মিটার বন্ধ থাকলেও দুই তিন মাস পরপর তিনি বিদ্যুৎ বিল হাত পেয়ে থাকেন। সর্বশেষ তিনি বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়েছেন ৩১-০৮-২০২৩ তারিখে। প্রতি বিলের কাগজে তার ৫হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আসে। উজ্জল হোসেন আরও জানান, তিনি প্রায় দুই মাস আগে মিটরটির সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন কিন্ত বিদ্যুৎ অফিস থেকে এখনও কোন কার্যকারি ব্যবস্থায় নেননি। মিটার থেকে সেচ পাম্পের দূরুত্ব বেশি হলেও ব্যবহার করা হয়নি কোন বিদ্যুৎ পোল, বাঁশের উপর দিয়েই নেওয়া হয়েছে থ্রী-ফেইজের এই লাইনটি।
এলাকাবাসি জানান প্রায় আড়াই বছর যাবত মিটারটি নষ্ট হয়ে আছে এভাবেই চলছে সেচ কাজ। বিদ্যুৎ অফিসকে মেনেজ করেই এমন কাজ চলছে বলে জানান তারা। রাজু স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি। বিদ্যুতের লাইন কাটার কাজও তিনি করে থাকেন। কারও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলেই রাজু ছুটে যান লাইন কাটতে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে তিনি তাদের লাইন কাটা বন্দ করেদেন।
কেই যদি টাকা দিতে না পারেন তাহলে তাদের বাড়ি থেকে চাউল নিয়ে আসেন রাজু এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের।আবাসিক প্রকৌশলী ইন্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন জানান, মিটারটি নষ্ট হয়েছে দেড় মাস মতন হবে। আমরা খুব দ্রুত নতুন মিটার লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। কি ভাবে ব্যবহারকারি তিন চার মাস পরপর বিদ্যুৎ বিল পান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন মিটারে অনেক বেশি ইউনিট লেখা হয়েছে তাই আমরা এটি সমন্নয় করার চেষ্টা করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.