মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাষিরা। গত কয়েক বছরে ধরে ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এবার বীজ চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ২ নং -- চারোল ইউনিয়নের চাষিদের মাঝে। উৎপাদিত এসব বীজের বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এসব বীজ ঠাকুরগাঁও জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ২ নং-- চারোল ইউনিয়নের গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মেলে সাদা কালো রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেত। এসব ক্ষেত করে শুধু কৃষকেরাই লাভবান হননি বরং স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান এর সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে। পেঁয়াজ ক্ষেতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকেরা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন যুবকেরা। দেখা যায়, সকাল হলেই এসব বীজ ক্ষেতের পরিচর্যায় জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ সেচ দেয়, আবার কেউ পোকা দমনের কীটনাশক স্প্রে নিয়ে এবং কেউ হাতের আলতো ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এবং পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক কিশোর-কিশোরী রাও এসব কাজ করছেন। তবে কয়েকজন চাষির সাথে কথা বলে জানা যায় , সাধারণত নভেম্বর মাস বীজতলায় বা জমিতে পেঁয়াজ বীজ বপনের সময়। বীজ পরিপক্ব হতে সময় লাগে ১৩০ দিন। পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। আর এসব ফুলে পরাগায়নের প্রধান মাধ্যম হলো মৌমাছি। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা ক্ষেতে কীটনাশক ছেটান। কিন্তু সেই কীটনাশকে মারা পড়ছে উপকারী পোকা ও মৌমাছি। এ কারণে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে দিন দিন মৌমাছির আনাগোনা কমে যাচ্ছে। তাই ঝাড়ু ও হাতের স্পর্শে কৃত্রিমভাবে পরাগায়নের চেষ্টা চলছে । এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি সম্প্রসন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী আতাউর রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করছেন চারোল ইউনিয়নের কৃষকরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.