স্টাফ রিপোর্টার,আজহারুল ইসলাম সাকীঃ সারা দেশপ্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে। জনজীবনে ছড়িয়ে পড়েছে অস্থিরতা, হ্যাঁস ফ্যাঁস করছে মানুষ সহ সব ধরনের প্রানিকুল। সাতক্ষীরার বাতাসে আগুন হাওয়া, অতিমাত্রায় খরতাপ, প্রখর সুর্য কিরন অতীতে এই জেলা বাসি তাপদাহের এমন অসহনীয় বৈরিতাকে পরখ করেনি। আগুনের হামলার সাথেই দিন যাপন করছে সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধীক মানুষ। কোথাও স্বস্তি নেই। খরতাপে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যেমন বিঘ্ন ঘটছে অনুরুপ ভাবে উঠতি ফসলের ক্ষতি আশঙ্কা জনক ভাবে দেখা দিচ্ছে। সবজিবাগানে বৃষ্টিহীনতা আর তাপদাহে বাহিল হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড তাপদাহের কবলে নানান ধরনের রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হিটস্্েরাক এ আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। অসহনীয় তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমের কল্যানে পাণিশুন্যতা, কাশি, মাথাব্যাথা, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের বিষয়টি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কলানমন্ত্রী ডাঃ সামন্তলাল সেন ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমানের তাপদাহ আরও কয়কদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপদাহের ক্ষেত্র অধিকতর ক্ষেত্র বিস্তৃত করতে পারে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গতকাল জেলার তাপমাত্রা ছিল একচল্লিশ ডিগ্রী যা অতীতে কোন সময়ে এমন অসহনীয় তপমাত্রায় সাতক্ষীরায় রেকর্ড করা হইনি। তাপদাহের গতি আর ভয়াবহতা যতই বিকিরন ঘটছে ততোই কর্মমুছি মানুষগুলো কর্মবিমুখ হচ্ছে, কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ব্যতিত কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছে না আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ও জনসাধারনের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রচন্ড রৌদ্র এবং তাপদাহের এই সময়ে ঘরের বাইরে বের না হওয়াই শ্রেয় বিশেষ করে দিনের বেলাতে যতদুর সম্ভব ঘরে থাকাই ভাল। অতি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে ছাতাকে সঙ্গী হিসেবে নেওয়ার বিকল্প নেই। চির পরিচিত, চির চেনা কর্মচঞ্চল জনবহুল, ব্যস্ততম সাতক্ষীরা শহর তার রুপ হারিয়ে বিবর্ণ হয়েছে। শহরের জনসাধরনের উপস্থিতি হ্যাস পেয়েছে। এ দৃশ্যত দুই এক দিনের জন্য নয় এক সপ্তাহের অধিক সময় যাবৎ চলছে, গ্রীষ্মের তান্ডব, আগুন হাওয়া এমনই বিস্তৃত ঘটছে জন জীবনকে স্পর্শ করছে যে সঙ্গত কারনেই মনে হচ্ছে আগুনের ছোয়া লাগছে। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এবং কেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা অস্থির এবং কর্ম বিমুখ সময় অতিক্রম করছে যে কারনে তাদের জীবন জীবিকায় ছন্দ পবতন ঘটছে। কাজের অভাবে অর্থাৎ তীব্র তাপদাহে মাঠে ঘাটে কাজ করতে না পেরে দ্বীন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো সংসার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমসিম খাচ্ছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতাগুলোতে তাপদাহ বাহিত রোগে আক্রান্ত লোকজন চিকিৎসা নিতে আসছে বিশেষ করে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ সতর্কতার বিকল্প নেই। একটু স্বস্তির জন্য দুপুরের পর অনেকেগাছ তলায় আশ্রয় নিচ্ছে কিন্তু সেখানেও স্বস্তি মিলছে না কারন বাতাস নেই। তালপাখার কদর বেড়েছে। সোলার ফ্যানে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের ও মফস্বল এলাকায় স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ও চায়না সোলার ফ্যানের বিক্রি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শরীর ঠান্ডা রাখতে আ পানির পিপাসা দুরীকরনে শরবত সহ বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা শরবতের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। শরবত বিক্রেতার সুন্দর সময় অর্থাৎ ভাল ব্যবসায়িক মুহুর্ত অতিবাহিত করছে। তাপদাহের কবল হতে রক্ষা পেতে শরবতের দোকান গুলোতে ভিড় করছে। শরবত গ্রহীতাদের অনেকেই অবশ্য আসে না ফুটপথের শরবত কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত তবুও প্রয়োজন বড়ই ভালো যেখানে সব শ্রেনির মানুষ শরবতের দিকে ঝুকছে। এই মুহুর্তে সতর্কতাই প্রধান নিয়ামক বিশেষ করে অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে। ঠান্ডা তথা শীতল স্থানে অবস্থানকরতে হবে। সুতিসহ ঢিলে ঢালা পোষাক পরিধান করাই শ্রেয়, মসলা যুক্ত বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়, রোদ্রে বের না হওয়াই উত্তম,ঘরের জানালা দরজা দিনে বন্ধ রাখাই ভাল, দিনে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো হতে বিরত থাকতে হবে। টেবিল ফ্যানের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এক কথায় যা যা করলে অধিকতর গরম অনুভূত হয় বা তাপদাহ আক্রান্ত হয় সেগুলো পরিহার করতে হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.