আসাদুজ্জামান জামাল,ভালুকা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল মহল। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ-প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করে নিজের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, কর্মী সভা, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্হিত, মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাটবাজার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় জনসংযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা,অভিনন্দন, উঠান বৈঠক ও দোয়া চাওয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে সর্বমহল। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক লবিং গ্রুপিং চলছে পুরোদমে। উপজেলার আনাচে কানাচে হোটেল কিংবা চায়ের দোকানে হরহামেশা নির্বাচনী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ভালুকা উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৩জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ৯ হাজার ৬৯৪ জন, নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৭ জন এবং হিজড়া ভোটার ২জন। সরেজমিনে দেখা যায়, ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য আগামী ৫জুন আসন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ভালুকা উপজেলায় ইতিমধ্যে সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় জনসমর্থন আদায় করতে শোডাউন, শুভেচ্ছা বিনিময় ও কর্মী সংগ্রহে তোড়জোড় চালাচ্ছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা।
তারা হলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা।এবারের নির্বাচনে উনার প্রার্থী হওয়া নিয়ে নেতা/কর্মীদের মাঝে নানা কানাঘোষা থাকলেও শারীরিক অসুস্থ্যতা থাকার কারণে প্রার্থীতা অনেকটায় অনিশ্চয়তা ছিলো।এরই মধ্যে হঠাৎ করেই উনার ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে উনার প্রার্থীতা ঘোষনা করেন।নেতা মোস্তফা খ্যাত আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফার প্রার্থীতা নিয়ে নেতা/কর্মী এবং সাধারণ ভোটাদের মাঝে যোগ হয়েছে নতুন আরেক সমীকরণ।
এছাড়াও এ নির্বাচনেও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।আবুল কালাম আজাদ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর ভগ্নিপতি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা’র(নৗকা)প্রতিকের বিপক্ষে(আনারস)প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন।
অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন,জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাজ্বী রফিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক,উপজেলা পরিষদের ২বারের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব কামরুজ্জামান পিন্টু,জাতীয শ্রমিকলীগ ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দেওয়ান ফেরদৌসুর রহমান।
ইতিমধ্যে তারা নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সেবামূলক কাজ, উঠান বৈঠকসহ,গ্রাম ও হাটবাজারে নিজের প্রার্থীতার ব্যাপারে প্রচারণা চালিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে আসন্ন ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ পর্যায়ে কত জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক ও সুশীল মহলে চলছে নানা হিসাব নিকাশ এবং আগামী ৯মে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।