উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃমিজানুর রহমান কালুঃ গরমে একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই, কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীনের লেখা 'ঐ দেখা যায় তালগাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐখানেতে বাস করে কানাবগির ছা'-এই ছড়ার মতো ছোটবেলা থেকেই সবার কাছে তালের পরিচিতি রয়েছে।
শনিবার সরেজমিন পুঠিয়ায় ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার পাশে তাল বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তালের শাঁস কেনার জন্য ক্রেতারাও দোকানের সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন। একটি তালের ভেতরে ২ থেকে ৩ চোখ বা শাঁস রয়েছে।
তাল কিনতে আসা শাঁস রনি আলী ক্রেতার সঙ্গে অনেক দর কষাকষি করে ১০০ টাকা দিয়ে ৫টি তাল কিনেছেন তিনি, তালের দাম কত তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর একটি তাল ১০ টাকা দিয়ে কিনেছি, এ বছর ২০ টাকা করে কিনলাম তাও আকারে ছোট।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছোটবেলায় গাছ থেকে তাল পেড়ে খেয়েছি,আমাদের বাচ্চারা তো গ্রামে যেতে পারে না, তাই দাম বেশি হলেও তাদের জন্য প্রতি বছর তাল কিনতে হয়।
হোসেন গাজী বলেন,গত বছর আমরা একটি তাল ৪ থেকে ৬ টাকায় কিনেছি,এ বছর সেই তাল ১২ থেকে ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে,গাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ায় এ বছর তালের দাম একটু বেশি।
তালের দোকানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন নাজিমউদ্দীন মাস্টার,একটি তাল ২০ টাকা দিয়ে কিনে দোকানের সামনেই তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন তিনি।
তালের দাম নিয়ে তিনি বলেন, সব জিনিসের দামই বেড়ে গেছে,একটি শাঁসের দাম ১০ টাকা, তাই আস্ত একটি তাল কিনলাম তিনটি শাঁস পেলাম,এই গরমে ডাবের চাইতে তালের শাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই দাম বেশি হলেও তালের শাঁস খাইতে মন চায়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।