এম এ হানিফ রানা,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের প্রধান সড়কগুলো সহ বিভিন্ন সড়কে আজো কাঁধে কাঁধ রেখে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। সেই সাথে প্রধান প্রধান পয়েন্ট গুলোতে কিছু সংখ্যক আনসার সদস্যদেরও দেখা গেছে। সকলে মিলেই গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন নিরন্তর ভাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকেই গাজীপুরের প্রধানতম ব্যাস্ত স্হান গাজীপুর চৌরাস্তা, মাওনা, ভাওয়াল পয়েন্ট, বিশ্বরোড বাইপাস, শীববাড়ী মোড়,জয়দেবপুর বাস্টান্ড সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব সামলাতে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এমন চিএ এবং এমন সাহসি কাজে খুশি ড্রাইভার, যাএী পথযাত্রী সহ সকলেই।
আজ দুপুরে ১ টার দিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গাজীপুর শীববাড়ী মোড়ে দেখা যায় প্রচন্ড গরমেও আনসার সদস্যদের সাথে ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীগন। শীববাড়ী মোড় থেকে বাস্টান্ড হয়ে নিয়ামত সড়ক মোড় পর্যন্ত তাদের কিছুটা দূর দূরে লম্বা লাইনে বিভক্ত হয়ে সড়কে কাজ করছেন। তারা যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, অটো রিক্সা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন নিশ্চিত করছেন। এবং যানজট শূন্য লক্ষ করা গেছে। সেই সাথে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের কখনও থামিয়ে হেলমেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন বা কেনো রিস্ক নিয়ে হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত শুনছেন। সেই সাথে কেউ যেনো হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাতে না পারেন সেদিকেও রাখছেন কড়া নজর।
এছাড়াও অন্যান্য সড়কগুলোতেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
শীববাড়ী মোড়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক সামলানোর বিষয়ে কথা হয় আনসার সদস্য মোঃ শাহীন রানার সাথে। তিনি বলেন বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীগন। সড়কে পুলিশ না থাকায় তাদের এ সহযোগীতা বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন করে দিয়েছে সড়কের পরিস্থিতি। সেই সাথে যানযটও তেমন নেই বললেই চলে। এবং সকলেই তাদের দ্বায়িত্ব সুন্দর ভাবে পালন করে চলেছে। তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ এগিয়ে আসার জন্য।
গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর শিক্ষার্থী তানজিদ হোসেনের সাথে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, আমরা চেষ্টা করছি সড়কগুলোর স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখার জন্য। মানুষ যেনো সুন্দর ভাবে গন্তব্য পৌছাতে পারে এবং যানজট সৃষ্টি না হয় তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে আনসার সদস্য গনও রয়েছেন। তারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ। সবাই মিলেই সেটি গড়তে হবে।
মোঃ সজিব নামে ড্রাইভারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা যেভাবে প্রচন্ড রোদের মাঝে সড়কগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাচ্ছে, সত্যি প্রশংসা করার মতো। পুলিশ তো বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি করতো, চাঁদা নিতো। কিন্তু এখন সেই ঝামেলা মুক্ত। সেই সাথে তথাকথিত বিভিন্ন জায়গার হয়রানি ও জিপি নামের চাঁদাবাজি থেকেও রেহাই পাচ্ছি যেটা সত্যি খুব ভালো লাগার মতো। এভাবে যদি সবসময় বিভিন্ন জায়গার শৃঙ্খলা এবং চাঁদাবাজি দূর হয় তাহলে যাএী ভাড়া কমে যাবে অনেক। আর হয়রানি মুক্ত হবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমগ্র দেশ। তাহলেই হয়তোবা সার্থক হবে এই শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.