আরিফুজ্জামান চাকলাদারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে একটি মিঠা পানির কুমির।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পবনবেগ গ্রামের সুধাংশু সহ আরো কয়েকজন জেলে তারা নদীতে জাল ফেলতে, ফেলতে পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার শিয়ারবর নামক এলাকা পর্যন্ত যায়,শেষ রাতের দিকে যখন জাল তুলে তখন জেলেদের চোখে পড়ে বিলুপ্ত প্রায় মিঠাপানির কুমির।
জানা যায়, উপজেলার ভিতর দিয়ে বহমান খরস্রোত মধুমতি নদীতে প্রতিদিনের ন্যায় জীবন জীবিকার তাগিদে মাছ ধরতে যান জেলেরা,এ সময় জাল তুলতে গেলে কুমিরটি দেখতে পান।আতংকে পাশের নৌকার অন্য জেলেদের সহযোগিতা নিয়ে নৌকায় কুমিটি তোলার চেষ্টা করে, শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করে দিগনগর ঘাটে নিয়ে আসে ভোর বেলায়।ঘাটে এনে উপরে তোলার পরে উৎসুক জনতা ভিড় জমাতে শুরু করে, উপস্থিত জনতার ভিতর থেকে কারো, কারো মন্তব্য এটা কুমির না ঘড়িয়াল এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য রমজান খান নামে উপস্থিত এক ব্যাক্তি গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারে এটি ঘড়িয়াল না মিঠাপানির কুমির। কুমিরটি পরে মারা যায়, মৃত কুমিরটি স্থানীয় ব্যাক্তিগন নদীতে ফেলে দেয়। স্হানীয় হাবিব নামে এক বৃদ্ধা জানান, ৫ ফিট লম্বা কুমিরটি জেলেদের জালে ধরা পড়ার পর আমরা দেখতে ছুঁটে আসি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা জনাব শেখ লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.ভবেন বাইন বলেন,ফেসবুকে ছবি দেখেছি, আমাদের দপ্তরের কাজ কোন প্রাণী অসুস্থ হলে চিকিৎসা দেওয়া। তারপরেও তিনি খোঁজ খবর নিয়ে প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন এটি কুমির নয় ঘড়িয়াল। কুমিরের দাঁতের সামনের অংশ লম্বা থাকে না।
প্রসঙ্গত জেলেরা প্রতিবেদক কে জানায় এর আগেও সোস্যাল মিডিয়াতে মধুমতি নদীতে ভাসতে দেখেছে কুমির এমন ছবি দেখতে পেয়েছি,কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় নাই, অনেকে গুজব বলে চালিয়ে দিয়েছেন। সকল জল্পনা কল্পনার অবশান ঘটিয়ে অবশেষে ধরা পড়েছে সেই মিঠাপানির কুমির।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.