ফাহিম হোসেন রিজু ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট সেঁজুতি প্রি-ক্যাডেট স্কুল আয়োজন করেছে পিঠা উৎসবের। শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, স্টলে বার্গার আর হরেকরকম পিজ্জার জোয়ারে হারিয়েই যেতে বসেছিল পিঠা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পৌরশহরের সেঁজুতি প্রি-ক্যাডেট স্কুল চত্বরে স্কুলটির ব্যবস্থাপক পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহনেওয়াজ এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ সময় স্কুলটির ব্যবস্থাপক পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণসহ নানা কারণে এখন আর সেভাবে পিঠা উৎসব হয় না। অন্তত এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠাপুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারছি। এটা একটা ভালো দিক। এবারের উৎসবে প্রায় ৫০ পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন স্কুলটির শিক্ষক ও আয়োজকরা। যার মধ্যে রয়েছে—ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, চিরুনি পিঠা, জামাই পিঠা, নারিকেল সুন্দরী পিঠা, নকশি পিঠা, ঝাল পুলি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, পুলি পিঠা, গাজরের ফুল পিঠা, বুটের হালুয়া পিঠা, তালের বড়া, দুধ চিতই পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা। এ সময় স্কুলটির অধ্যক্ষ আশা আক্তার হরেকরকম পিঠার নামের সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পরিচয় করে দেন। এদিকে নানা রকমের বাহারি পিঠার সঙ্গে উৎসব আঙিনায় চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.