তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ এক নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি উপজেলায় পাড়া মহল্লায়, হাট বাজার, গ্রামে গন্জে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানের বার্তা পৌছে দিতে অবিরাম ছুটে চলেছেন ভাটির জনপদের মেয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বি এনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সালমা নজির। শুক্রবার সারাদিন জামালগঞ্জ উপজেলার পথে প্রান্থরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরন ও বিভিন্ন স্তানে পথ সভায় এমপি প্রার্থী সালমা নজির বলেন, আমার স্বামী প্রয়াথ নজির হোসেন ছিলেন আপনাদের বার বার নির্বাচিত এমপি, তিনি এই জামালগন্জের মানুষকে প্রানের চাইতেও বেশি ভালবাসতেন। তিনি এই নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের প্রিয় ছিলেন।আজকে আপনাদের প্রিয় নেতা আমাদের কে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন আপনারা আপনাদের প্রিয় নেতার জন্য দোয়া করবেন।আমি যেখানেই যাচ্ছি প্রতিটি মানুষ তাদের ভালবাসায় আমাকে আবদ্ধ করে নিচ্ছেন। আমি আমার স্বামীর মতো আপনাদের ভালবাসা নিয়ে সারাজীবন আপনাদের সেবা করতে চাই। তিনি তার বক্তব্যে বলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল বিষয় হচ্ছে- গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। বিগত ১৫-১৬ বছরের আন্দোলনটাই ছিল জনগণের অধিকার, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি, লুটপাট এসবের বিরুদ্ধে। মূলত সবকিছুর মূলে ছিল একটি অনির্বাচিত অবৈধ দখলদার সরকার। যেহেতু অনির্বাচিত ছিল, জনগণের ভোট ছিল না, সেহেতু স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার হতে হবে। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী দিনের নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম, যারা গত তিন-চারটি নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ভোটাধিকার না থাকায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য জনগণ তাদের ভোটাধিকার চায়, তাদের মালিকানা ফিরে পেতে চায়। নির্বাচিত সংসদ ও সরকার দেখতে চায়। মোট কথা জনগণ একটা জবাবদিহিমূলক সরকার চায়। একটি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনের মাধ্যমেই জবাবদিহিমূলক সরকার ও সংসদ গঠন এবং গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। এর মধ্যে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে। তবে সংস্কারটা হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে সংস্কারগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। কারণ সংস্কার তো ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নয়। কোনো গোষ্ঠীরও বিষয় নয়। সংস্কার হচ্ছে- দেশের জন্য এবং সংস্কার প্রক্রিয়া জনগণের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে হতে হবে। যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য হয়ে গেছে সেসব বিষয়ে দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করা যেতে পারে। আর যেগুলো হয়নি বা দ্বিমত আছে, সেগুলো পরবর্তী সময়ে ভোটে নির্বাচিত সরকার এসে করতে পারে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদের মাধ্যমে সেই পরিবর্তনগুলো আনা সম্ভব।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.