

সুজন আলী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দাফনের এক বছর পর নয়ন (৮) নামে এক শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পিবিআই। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পৌরশহরের পাঁচপীর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। নয়ন রাণীশংকৈল পৌর শহরের উত্তর ভান্ডারা এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়,গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নয়নের মা সুরাতুন নেছা ও তার মেয়ে সিমি আক্তার নারায়ণগঞ্জের একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। ঘটনার দিন তারা নাইট ডিউটিতে ছিলেন। সকালবেলায় বাসায় ফিরে এসে দেখেন, শিশু নয়নের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। নয়নের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘর এলোমেলো, বেতনের জমানো ৪০ হাজার টাকা-ও খোয়া যায়। সেই সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ফতুল্লা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে সুরাতুন নেছা অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ থেকে নয়নের লাশ রাণীশংকৈলের পাঁচপীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর গত ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট নয়নের মা সুরাতুন নেছা নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সুরাতুন নেছার অভিযোগ, পাশের বাসায় থাকা বগুড়ার সুজন নামের এক যুবক তাদের অনুপস্থিতিতে টাকার জন্য বাসায় প্রবেশ করে। নয়ন ঘটনাটি দেখে ফেলায় সে গলা টিপে এবং বালিশচাপা দিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে। সুরাতুনের দাবি, “আমার ছেলের হত্যাকারী সুজন ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।” নারায়ণগঞ্জ পিবিআই পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, “গত আট মাস আগে মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তে আসে। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে হাড়, দাঁত ও চুল সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।” রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশে পিবিআই টিম লাশ উত্তোলন করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।