

ঈদগাঁও প্রতিনিধি, কক্সবাজার। ঈদগাঁও উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর বাদে জুমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদগাহ মডেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে। ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিণ পাশে মমতাজ আবাসিক এলাকার টি,এন টাওয়ারে হাসপাতালটির নবনির্মিত ভবনের অভ্যন্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করাসহ ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের চলমান ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে অবহিতকরণ মূলক বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের অর্থ পরিচালক মাওলানা আবু বকর ফরাজী। উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোলাইমান আলী, কর্মরত সাংবাদিকসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। নেতৃ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে মত বিনিময়ে অংশ নেন মোঃ রেজাউল করিম, সেলিম উদ্দিন, আনোয়ার হোছাইন, মিজানুর রহমান আজাদ, এইচ, এন, আলম, মিছবাহ উদ্দিন ও ওসমান গনি ইলি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাসপাতালের ম্যানেজার মাওলানা আবু বক্কর। শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাসপাতালটির অর্থ পরিচালক। এতে সাংবাদিকরা হাসপাতালটির স্বাস্থ্য কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনার ব্যাপারে মূল্যবান পরামর্শ ও মতামত ব্যক্ত করেন। পরামর্শের মধ্যে ছিল উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য কার্ড প্রদানসহ বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, নিয়মিত বা অনিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ, বেওয়ারিশ, লাওয়ারিশ ও অভিভাবকহীন রোগীদের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের গতিবিধি সীমিতকরণ প্রভৃতি। ডাক্তার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, নবনির্মিত ভবনে আলাদা নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র, শিশুদের দুগ্ধ দান কর্নার, অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, লিফটের সুব্যবস্থা, জেনারেটর স্থাপন, জীবাণু মুক্ত অপারেশন থিয়েটার কক্ষ, উন্নত মানের মেশিনে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি সেবা প্রদান সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো জানান, ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এ হাসপাতালে ইতোমধ্যে ১২২৯ জন ডায়াবেটিক রোগীকে নিবন্ধিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৮০ জনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধপত্র প্রদান করা হচ্ছে। নবজাতকদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, স্থানীয় দরিদ্র আলেম-ওলামাদের শেয়ারে পরিচালিত এ হাসপাতালের কল্যাণ তহবিল থেকে প্রসূতি রোগীদেরকে বিগত সময়ে সাড়ে তেরো লক্ষাধিক টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। শেষে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অংশগ্রহণে উপস্থিত সাংবাদিকরা হাসপাতালটির বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ও কক্ষ পরিদর্শনে যান।