ভোলা বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় রবিবার (১২ই ডিসেম্বর) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ইউসা ইসলাম রিমেল নামের এক শিক্ষার্থীর বেতন বকেয়া থাকায় বার্ষিক পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাধঁন স্কুলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আমার সন্তান ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করেন। মাসিক বেতন ১২শত টাকা এবং কোচিং ফি ১২শত টাকা করে দুই মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আমার একটু সমস্যার কারনে দিতে পারি নি। আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে গেলে বাধঁন স্কুলের শিক্ষকরা বলেন এটা ফ্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না ! এখানে টাকা ছাড়া লেখাপড়া হয় না। টাকা ছাড়া পরীক্ষা দেয়া যাবে না। সকল শিক্ষার্থীর সামনে আমার সন্তানের সাথে খারাপ আচরণ করে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন শিক্ষকরা। আমার ছেলের সাথে এরকম হলে অন্যদের সাথে কি আচরণ করেন। আমার সন্তান বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষাটি দিতে পারেনি। প্রাইভেট স্কুলে অভিভাবকরা দেন যাহাতে বাহিরে প্রাইভেট পড়াতে না হয়। কিন্তু এ স্কুলে বিকালে কোচিংয়ের নামের বেতনের সাথে আরোও ১২শত টাকা নেয়। তিনি আরোও জানান, এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ভোলা ডিসি মহোদয়কে অবহিত করেছি। তারা বলেছে বিষয়টি তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।
এব্যাপারে বাধঁন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হালিমের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, কয়েকটা পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আজ শিক্ষকরা বলেছে যে টাকা দিবে না তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না। একথা শুনেই ছেলেটি স্কুল হতে চলে যায়। আমরা ওকে বের করিনি।