জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপ
রাম বসাক,শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ ১০ই জানুয়ারি-২২ (সোমবার) কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন ১-এ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী, সকল বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। তিনি বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও বিজয়ের সূর্য যেন রক্তিম ছিল না। কারণ, বাঙালি জাতির শৃঙ্খলমুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ নামক কাব্য যিনি রচনা করেছিল, পোয়েট অব পলিটিক্স খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি তখনও কাছে পায়নি। পাকিস্তানের একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের অব্যাহত চাপে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিলে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে পৌঁছান।
মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী ও গবেষক মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বিজয় সূচিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলার মহানায়ককে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে এবং সেইসব ঘাতককে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিৎ এবং নামের তালিকা প্রস্তুত করে রাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া উচিৎ যাতে করে নতুন প্রজন্ম সেইসব বিশ্বাসঘাতককে চিনে রাখতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই মানুষটি অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
মাননীয় উপাচার্য মহোদয় রবীন্দ্র বিশ্বিবিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবনে বঙ্গবন্ধুর একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল স্থাপনের ঘোষণা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।