স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাড়া বৃদ্ধি না করলেও মালিক পক্ষ যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি চেয়েছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।
বৈঠক প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের প্রস্তাব– বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে না। ৫০% যাত্রী পরিবহন করা হলে রাজধানীতে পরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা উচিত। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, বাস্তবতা বিবেচনা করে তারা যত আসন তত যাত্রীর প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে সরকার সায় দিলে পরিবহনে সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেনি তিনি।
সব চালক ও সহকারীকে টিকার আওতায় আনার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহনশ্রমিকদের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাসে স্যানিটাইজার রাখা, মাস্ক পরা নিশ্চিত করা—এসব বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন বলেও জানান খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ বিধিনিষেধ আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।