স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
খুলনার দাকোপ উপজেলায় পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে চুনকুড়ি নদীর উপর আটশতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ” ঢুনকুড়ি সেতু”।
এ সংকান্ত বিষয়ে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় অপেক্ষায় রয়েছে বলে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সুত্র মতে জানা যায়, গল্লামারী – বটিয়াঘাটা -দাকোপ নলিয়ান ফরেষ্ট (জেড- ৭৬০৬) সড়কের ২৮ তম কিলোমিটারে চুনকুড়ি নদীর উপর পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে ” “চুনকুড়ি সেতু” নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। খুলনা সড়ক বিভাগের আওতায় পরিকল্পনাধীন কাজ সমুহের বিবরণীতে সেতু নির্মানের এ প্রকল্পটি দুই নম্বর তালিকায় রয়েছে কুয়েত ফ্যন্ড অব আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সেতুটির নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করতে সম্নত হয়েছে। প্রকল্পের দৈর্ঘ একহাজার দুইশত চার মিটার এবং প্রকল্পের সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে আট শত কোটি টাকা।কুয়েত ইতিমধ্যে প্রকল্পটির ডিপিপি তৈরী করেছে।
চুনকুড়ি নদীর উপর “চুনকুড়ি সেতু” নির্মাণ প্রকল্পের উপর সর্বশেষ গত বছরের জুনমাসের শেষের দিকে খুলনা সওজ এর এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কিছু ব্যাবস্হা
গৃহিত হয়। গৃহিত ব্যবস্হার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ফান্ডের জন্য যথাশ্রীঘ্র ইআরডিতে পত্র পেরন করা হবে।পত্রে আলোচ্য প্রকল্পের বিপরীতে অতিরিক্ত পিএ অর্থের যোগান না হলে জিওবি অর্থায়নে ঘাটতি পুরণ করা হবে।
পরিকল্পনা উইং কতৃক পুর্ববর্তী সভার পর্যালোচনায় অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠনে করা হয়েছে।এতে বৈদেশিক প্রশিক্ষন খাতে ত্রিশ লাখ টাকার পাশাপাশি
স্হানীয় প্রশিক্ষনের জন্য ১২ দশমিক ৫০ লাখ টাকার
সংস্হান রাখা হয়েছে।বর্তমান ও ভবিষৎ বিবেচনা করে ভৈরব সেতুর ন্যায় টোল প্লাজার জন্য পাঁচশত লাখ টাকার সংস্হান রাখা হয়েছে এবং( Appendix-H) সেতু ডিজাইনের সময় নদীর মাঝে যাতে পিলার না পড়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সেতুর উচ্চতা ক্ষেত্রে বিআইডবলু টিআই কতৃক ২০১২ সালের নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়েছে।
উভয় নদীরই ক্লাশ -ওন ক্যাডাগরী ভুক্ত।এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভার্টিকাল ক্লিয়ারেনস হরিজেনটাল ক্লিয়ারেন্স
বি আই ডবলু টিএ কতৃক প্রদান করা হয়েছে।প্রকল্পের ইভারমেন্টাল ইমপেক্ট এ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) করা হবে।
গল্লামারি – বটিয়াঘাটা – দাকোপ – নলিয়ান ফরেষ্ট (জেড-৭৬০৬) মুলজেলা সড়কটি১৮ ফিট চাওড়া এবং প্রস্তাবিত ব্রিজ অ্যোপ্রোচ রোড ৩২ ফিট প্রস্হ হওয়ায় সার্ভিস রোড ১৮ ফিট প্রস্হস্ত রাখা হয়েছে।সেতুটির ডিজাইনের সময় ডিজাইন লাইফ নির্ধারণ করা হবে।এক্ষেত্রে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পরিবর্তে বাস্তবতার নিরিখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় করা হবে।
জানাযায় দাকোপ উপজেলা বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী চুনকুড়ি নদীর উপর সেতু নির্মাণের। চুনকুড়ি নদীর উপর পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে “চুনকুড়ি সেতুটি” নির্মিত হলে দাকোপ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে।
বিভাগীয় শহর খুলনাসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।অর্থনৈতিক ভাবে এ অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।এ অঞ্চলের হাজার কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে
বিভাগীয় শহর খুলনা সহ রাজধানী ঢাকায় সরবরাহ করতে পারবে