রেজাউল করিম, (ঈদগাঁও) কক্সবাজার:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও খাল ৭০% ভরাট করে গড়ে তুলছে দোকানপাটসহ বহু স্থাপনা। পানি নিষ্কাশনের এ প্রধান খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে বাজারে দুই হাজারের অধিক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের। উজান টিয়া খালটি বান্দরবান আলীকম পাহাড় থেকে শুরু হয়ে ঈদগড়, ঈদগাঁও, জালালবাদ, পোকখালী দিয়ে সংযোগ হয়েছে মহেশখালী নদীতে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন, আশঙ্কাজনক ভাবে বর্তমান সময়ে দখলদার বেড়ছে। খালের দুই কূলে দখল করে দোকানপাট স্থাপনা গড়ে তুলছে। অপরাধীদের রক্ষা করতে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আসল অপরাধীদের বাঁচতে উল্টো নিরীহ ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে দখলদার চক্রটি । এসব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে খালটি দখল মুক্ত করে সঠিক তদন্তদের মাধ্যমে দখলদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বাঙালী বলেন, সংলাপ এলাকার ১০ হাজার কৃষক এ খালের পানির উপর নির্ভরশীল। এখানকার পানি দিয়ে তারা চাষাবাদ করেন। বর্তমান সময়ে দখলদারদের উৎপাত বাড়ছে। তাদেরকে দমন করা না হলে খালের দুই পাশে দখল হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ সম্পাদক হাসান তারেক বলেন, এ বিষয় নিয়ে কক্সবাজার তিনি সদর উপজেলা ইউএনও মিল্টন রায় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। কায়েস সিকদার কি করে কাওছার হবে? যারা খাল দখল করে দোকান ও স্থাপনা করছে সেগুলো গুড়িয়ে দিয়ে খালটি রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বলেন, দোকান গুলো খাস খতিয়ান না বিএস খতিয়ান ভুক্ততা এসিল্যান্ড অফিস থেকে সার্ভেয়ার এসে জমি মাপার পর জনতে পারবো
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। খবর নিয়ে দেখছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার সদরের ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার জিল্লুর রহমানকে নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ ও তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে খালটি দখলমুক্ত করে দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজারের পানিসহ উজান থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
এমআইএইচ/একে