আব্দুল আলীম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আধুনিক উন্নত জাতের গম চাষ হয়েছে। খরচে কম ও স্বল্প পরিশ্রমে গতবার অধিক ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় চাষীরা এবার আগ্রহী হয়েছেন গম আবাদে। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় গম চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি।ভালো ফলনের আশা করে কৃষকরা বলেন এক সপ্তহের মধ্যে গম কাটাই মাড়াই শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে । গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩০৫৮মেট্রিক টন । উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক কৃষক বাদল ১০ বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০-১১ হাজার টাকা।
উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের সাইফুল বলেন, ধান চাষ কমিয়ে দিয়ে ৬ বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছে। গত বছর এক বিঘায় ১৫ মণ গমের উৎপাদন হয়েছিল। এবার সময়মত সেচ ও সার দেওয়ায় গমের শীষ ভালো রয়েছে। এবার বেশি উৎপাদন হবে বলে এ কৃষক জানান।
গোদাগাড়ী উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোসা.মোস্তাকিনা খাতুন দৈনিক গণমুক্তি কে বলেন, গম চাষে সেচ ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কম হয়। সেচ ও সার সাশ্রয়ী গম চাষে কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। এবার ৩০,৩২, ৩৩ জাতের গম উৎপাদিত হচ্ছে এতে করে প্রতি বছর এ অঞ্চলে গম চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের গম চাষ বেশি করে।তাছাড়া সারের দাম অন্যবারের চেয়ে কম ও কৃষি অধিদফতরের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তাই কৃষকরা গম চাষে ঝুঁকছেন।
সবমিলে সময় মত সার, বীজ পাওয়ায় কৃষি বিভাগের জুতসই পদক্ষেপ ও সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান, সুষম সার ব্যাবহার, প্রয়োজন মতো সেচ প্রদান এবং রোপনের পর এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় রোপিত জমিতে গমের বাম্পার ফলনেরও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গোদাগাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা গণমুক্তি কে বলেন, এক সময় এ অঞ্চলে ধান চাষের উপড় নির্ভরশীল ছিল কৃষকরা।তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বহুমুখী ফসল চাষের উদ্যোগ নিলে গম চাষ বৃদ্ধি পায়।