মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাও:
রাস্তায় রজনীগন্ধা ফুল হাতে দাঁড়িয়ে পুলিশ। মোটরসাইকেলে হেলমেট না পরে ছুটে চলা চালকদের থামালেন। জেল-জরিমানার পরিবর্তে তাদের হাতে তুলে দিলেন ফুল। আর অনুরোধ করে বললেন, নিন রজনীগন্ধা ফুল, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। অপরদিকে যাদের মাথায় হেলমেট ছিল, তাদেরও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ফুল দিয়ে।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সত্যপীর ব্রিজ মোড় এলাকায় ২৩ মার্চ বুধবার বিকেলে এমন চিত্র দেখা গেছে। একের পর এক মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার শাস্তি এবং হেলমেট না থাকায় দুর্ঘটনার কুফল তুলে ধরেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর এখন থেকে হেলমেট ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন চালকরা।
২৩ মার্চ বুধবার বিকেলে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল থামান পুলিশ সুপার। তার মাথায় হেলমেট ছিল না। এরপরও পুলিশ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিভূত হন ঐ যুবক। তিনি পুলিশেরর দেয়া ফুল গ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে সর্বদা হেলমেট পরার প্রতিশ্রুতি দেন। সত্যপীর ব্রিজ মোড়ে একটি মোটরসাইকেল এগিয়ে আসতে দেখলেই সামনে এগিয়ে গেলেন এসপিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যরা। তাদের হাতে থাকা সচেতনতা মূলক লিফলেট ও ফুল দিয়ে হেলমেটপরা চালককে শুভেচ্ছা জানালেন তারা। ফুল হাতে পেয়ে শিক হেলাল উদ্দিন রীতিমতো অবাক। ধন্যবাদ দিলেন সবাইকে। এরকম পুলিশী সচেতনতা উদ্যাগকে স্বাগত জানান তিনি। মোটর সাইকেল চালক আহসান হাবিব বলেন, ‘ট্রাফিক আইনের প্রতি বেশিরভাগ মানুষ খুবই উদাসীন। শুধু সচেতনতার অভাবে তারা ট্রাফিক আইন মানেন না। তাই মানুষকে সচেতন করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলের চালকদের জীবন নিরাপদ করার জন্য হেলমেট ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে চালকদের উৎসাহিত করেছি, যাতে পরবর্তী সময়ে ন্তত আর এ ভুল না করেন।’এই উদ্যোগের সময় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আমজাদ, মাহফুজ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা মোটরসাইকেল চালকদের সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন।