ঈদগাঁও প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
কক্সবাজারে নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৯ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
গ্রেপ্তাররা হলো ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা ফিরোজ ওরফে মোস্তাক, একই এলাকার মো. শরীফ ওরফে শরীফ কোম্পানী ও নুরুল ইসলাম।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, ঈদগাঁও উপজেলার নাপিতখালী থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার তিন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আস্তানা থেকে মাটি খুড়ে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও বন দখলের একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ মার্চ কক্সবাজারের আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন এক নারী। ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ওই নারী। এ মামলায় এ ৩ জনসহ আরও একজন এজাহার নামীয় আসামী রয়েছে।
অন্য সূত্রের দাবি, শরিফ ও ফিরোজকে বেশ কয়েকদিন আগে ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন।
গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় তাদেরকে নিয়ে নাপিতখালিতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। যাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হয়েছিল সে না থাকায় অন্য একজনকে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টরা তাকে ছেড়ে দেয়।
আর সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগকারী মহিলাটি ফিরোজের স্ত্রী। চিকিৎসা দেয়া খরচের টাকা দিতে গড়িমসি করায় মহিলাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হয়েছিল।
সে সময় এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ বহন করছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।