মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল ষড়যন্ত্র করার জন্য। আর এ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খলনায়ক। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। তাই ওইসব স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারী ও কু-চক্রী মহলেরা এখনও তৎপর রয়েছে, তাদের দেশবিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে তারা আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
২৮ মার্চ সোমবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অর্নাস কলেজ প্রাঙণে আয়োজিত বগুড়ার শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে ত্রি-বার্ষিক ওই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মজিবর রহমান মজনু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনু, এ্যাড-জাকির হোসেন নবাব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি।
এছাড়া স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. গোলাম ফারুক, মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজামাল সিরাজী, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ¦ সারোয়ার রহমান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, শামীম ইফতেখার শামিম, শহর আ.লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রেজাউল করিম সিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সানি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা প্রমুখসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. গোলাম ফারুক শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি এর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এতে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি(মাছ প্রতিক) ও সুলতান মাহমুদ( দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে) ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। কাউন্সিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২টি ইউনিটের ৪২৩ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি পেয়েছেন ৫৭ ভোট। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু।