সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম :
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা।
এক সময় গ্রামবাংলার শিশু ও যুবকরা লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য খোলা মাঠে দলবেঁধে এসব খেলা খেলতো।
কালের বিববর্তনে মহাকালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা। গ্রামীণ এসব খেলাধুলা আমাদের আদীক্রিড়া সংস্কৃতির অংশ ছিল।
এসব খেলাধুলা গ্রামবাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো কিন্তু বর্তমানে এসব খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুজেঁ পাওয়াই দুষ্কর হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হা-ডু-ডু , আনচু বাগাচু, একটি হাস কলার বাস, কুতকুত, পান্না কুতকুত, বৌছি, দাঁড়িয়াবান্দা ইত্যাদি গ্রামীণ খেলার প্রচলন নেই বললেই চলে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম হল- হা-ডু-ডু, গাদন, ডাংগুলি, গোল্লাছুট,হাড়িভাঙ্গা, রুমাল চুরি, বাইচস্কোপ, ঘোড়দৌড়, আকডুম বাকডুম, মোরগ লড়াই ইচিং বিচিং, বৌরানী ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া এসব খেলাধুলা আর চোখে পড়ে না তেমন। বিলুপ্ত প্রায় একটি গ্রামীণ খেলা হচ্ছে কানামাছি ভোঁ ভোঁ। কানামাছি ভোঁ ভোঁ যারে পাবি তারে ছোঁ। ছড়াটি নিশ্চই সবার কাছেই সুপরিচিত ।
এ খেলায় কাপড় দিয়ে একজনের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। চোখ বাধাঁ অবস্থায় সে অন্য বন্ধুদের ধরতে চেষ্টা করে। যার চোখ বাঁধা হয় তাকে বলে কানা। অন্যরা তার পিঁছনে পিঁছনে মাছির মত করে তার চারিপাশে ঘিরে কানামাছি ছড়া বলতে বলতে তার গায়ে টোকা দেয়।
চোখ বাধাঁ অবস্থায় সে অন্যদের ধরতে চেষ্টা করে। সে যদি কাউকে ধরতে পারে এবং তার নাম বলতে পারে তবে সেই ব্যক্তিকে কানামাছি সাজতে হয় এবং সে হয় চোর।