মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ৫০ বিঘা জমির ওপর জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গড়েছিলেন কাকড়ার খামার।জমির চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর পার হলেও টাকা ও জমি কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না কৃষকরা। নাম দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম। অবশেষে ১৬ জন জমির মালিক টাকা ও জমি ফেরত পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় দাতিনাখালী এলাকায় সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের সামনে মানববন্ধন করেন জমির মালিকরা।
জমির মালিকরা বলেন, ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিপত্র করে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদ হোসেন তিনজন মিলে আমাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে কাকড়ার খামার গড়ে তোলেন। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান জমি লিজ নেন। চুক্তিপত্রের মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত। চুক্তিপত্রের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হলেও পরবর্তী সময়ের জন্য জমির মালিকদের চুক্তিপত্র অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি। জমিও ফেরত দিচ্ছে না উক্ত প্রতিষ্ঠানটি।
তারা আরও বলেন, এ নিয়ে ২০২০ সালেও জমির মালিকদের পূর্বের টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলনে নামতে হয়েছিল। সে সময় ফার্মের মূল ফটকে থাকা সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা জমি ফেরত চাই।
অভিযোগের বিষয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ব্যবসায়ীক পার্টনার সগীর হোসেন পাভেল বলেন, দুই বছর আমরা ব্যবসায় ছিলাম না। তবুও তাদের টাকা দিয়েছি। এখন ব্যবসা আবার চালু হচ্ছে। এক বছরের টাকা তারা পাবেন, সেটিও দিয়ে দেওয়া হবে। তারা দুই বছর নয়, এক বছরের টাকা পাবেন। যদি কেউ দুই বছরে টাকা দাবি করে তবে সেটি ভিত্তিহীন।