মাসুদ রানা জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
গাজীপুরের কাশিমপুরে জমি দখলের নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে ইলিয়াস তালুকদার ও স্বাধীন। অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করাই তাদের প্রধান ব্যবসা। জোরপূর্বক জমি দখল করেই বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যত্র। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ ক্রেতারা। কাশিমপুর পানিশাইল এলাকায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভুক্তভোগী সাইফুল আলম খান (৩০) এর সঙ্গে।
পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ৩৩.২৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছে। শান্তির ঠিক সে মূহূর্তে ইলিয়াস তালুকদার নামে এ ব্যক্তি জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করে ৮ শতাংশ জমি তাদের বলে দাবি করেন। এ সম্পর্কে ভুক্তভোগী সাইফুল বলেন, আমাদের ৩৩ শতাংশ দখলকৃত জমির মধ্যে ৮.৪৮ শতাংশ দাবি করে ইলিয়াস তালুকদার মালিকানাধীন একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে।
৫০/৬০ জন লোকের সমাগম ঘটিয়ে টিনের ছাউনি ঘর নির্মাণ করে। এতে বাধা দিলে তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। জানা গেছে, ইলিয়াস গংরা নামমাত্র কাগজ ক্রয় করেই শুরু করে জমি দখল। সাইফুলের পিতা জাবের আলম খান ২০০৯ সালে আলাদাভাবে ১৪ ও ১১ শতাংশ, ২০১০ সালে ৮.২৫ শতাংশ মোট ৩৩.২৫ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল করে। মোট ৩৩.২৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৮.৪৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে ইলিয়াস তালুকদার ও তার ভূমিদস্যু বাহিনীরা।
ভূমিদস্যুদের দখল ঠেকাতে কাশিমপুর থানায় অভিযোগ করেও রেহাই পাচ্ছে না সাইফুল আলম খান। এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় ভূমিদস্যু ইলিয়াস তালুকদার ও স্বাধীন গংদের ঘর নির্মাণ ঠেকাতে আমাদের বাড়ির কেয়ারটেকার মুকুল ও প্রদীপ বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে থাকা আরও ৫০/৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী মেরে ফেলার হুমকি দেয় ও জোর করে বাড়ির আঙিনায় একটা সাইনবোর্ড ও চালাঘর তৈরি করে।
সাইফুলদের এক প্রতিবেশী শফিউল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখছি ওরা এখানে ঘর দোকান নির্মাণ করে থাকছে। হঠাৎ গতকাল নতুন এ সাইনবোর্ড দেখছি। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটির ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পারভিন আক্তার বলেন, সাইনবোর্ড কে দিয়েছে এটা জানা নেই। সাইফুল ইসলামের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবের খোদা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।