নাটোর সংবাদদাতা বিপ্লব তালুকদার
সিংড়ায় সরকারী বরাদ্দের অভাবে দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে পড়ছে হাসকিং মিল। সরকারী বরাদ্দের স্বল্পতার কারনে হাসকিং মিল টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৪০ টি হাসকিং মিল বন্ধ হয়ে গেছে। অটোমিলের কারনে হাসকিং মিল তাঁর ঐতিহ্য হারাচ্ছে।
যারা টিকে আছে, তাদের প্রতি মাসে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
হাসকিং মিলে সরকারী গোডাউনের ধান ক্যাশিং করলে মিল গুলো চালু থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সিংড়া উপজেলায় সরকারী হাসকিং মিল রয়েছে প্রায় ৯০ টি। এর মধ্য ৪০ টি মিল বন্ধ হয়ে পড়ছে। বাঁকি মিল আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। এদিকে মিলে কর্মরত শ্রমিকরা ও বেকার হয়ে পড়ছে। অনেকে মিল বন্ধ হয়ে পড়ায় মিলে বাসস্থানের সুযোগ হারাচ্ছে। এতে করে নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো পড়ে গেছে বিপাকে। সিংড়া উপজেলায় অটোমিল না থাকায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন হাসকিং মিল মালিকরা।
মিল মালিকরা জানান, সরকার কৃষকদের মাঝ থেকে ধান ক্রয় করে সে ধান হাসকিং মিলে চাল করে নিলে মিল মালিকরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি শ্রমিকরা ও কর্ম ফিরে পাবে।
খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর গত বছর অবকাঠামো ত্রুটির জন্য ৪০ টি হাসকিং মিল বন্ধ করে দেই। এবছর অবকাঠামো উন্নতি করায় যোগ্যতা অনুসারে ৫২ টি তালিকায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছর ৩৬৫ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেটা আমরা ৩১ টি হাসকিং মিলে বরাদ্দ করি। এবছর হাসকিং মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।