জাকির হোসেন সুমন, ব্যাুরো চীফ ইউরোপ :
শুরু হয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব রামাদান মাস। বছরের এ ক মাস সিয়াম সাধনা যেনো উৎসবে রুপ নিয়েছে। রামাদান মাসকে ঘিরে ইতালির ভেনিস প্রবাসী ব্যাবসায়ীদের ব্যবসাও রমরমা হয়ে উঠেছে।
ইতালির বন্দর , বানিজ্যিক ও পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত ভেনিস শহর। এই শহরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বসবাস প্রায় ২০ হাজার। বিশেষ করে ভেনিসের মেসত্রে ও মারঘেরাতে বসতি গড়ে তুলেছেন অধিক সংখক বাংলাদেশী। সে কারনেন এখানে গড়ে উঠেছে বহু বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান । এর মধ্য কেশ কয়েকরি খাবারের দোকান ও হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় । সেই খাবার দোকান গুলোতে রোজাদারদের জন্য তৈরী করা হচ্ছে বাংলাদেশীয় মুখরোচক হরেক রকন ইফতারির খাবার।
বুট, পিয়াজো, বেগুনি , বুরিন্দা, আলু ডিম চপ, হালিম, শরবত ও লাচ্ছি , জিলাপি সহ নানা রকম খাবার তৈরী হচ্ছে ইফতারির জন্য।
প্রবাসের কর্মব্যস্ত জীবনে ক্লান্ত দেহে অনেকেই কাজ হতে বাসায় ফিরে ইফতারি র আয়োজন করতে পারেন না । তারা দোকান হতে এ সব মুখরোচক খাবার কিনে নিয়ে বাসায় ইফতারি করে থাকেন।
আবার অনেকে বাসায় আয়োজন না করে পরিবার পরিজন নিয়ে মেসত্রের আল মদিনা বাংলা মিষ্টি ঘর , দেশ ফাস্ট ফুড , মারঘেরার বাংলা মিস্টি ঘর সহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় বসেই ইফতার সেরে নেন ।
ভেনিসে বাংলাদেশী প্রবাসীদের বসবাস বৃদ্ধি পাওয়ায় মেসত্রে তে গড়ে উঠেছে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের দেয়া হচ্ছে আরবি শিক্ষা। সে সব শিশু রা আরবি শিক্ষার পাশাপাশি রোজা রাখতে শুরু করছে , এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ইফতার ও নামাজ আদার করছে। ভেনিসে বসবাসরত বাংলাদেশীরা মনে করেন যে সব বাংলাদেশী এখানে পরিবার পরিজন ছাড়া বসবাস করছেন , কাজ হতে ফিরে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার খেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। অপরদিকে ইতালিতে বেড়েওঠা শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি দেশীয় কৃষ্টি , সংস্কৃতি ও খাবার সম্পর্কে জানতে পারছে। শুধু বাংলাদেশী রা নয় অন্যান্ন দেশের মুসলমানদের ও দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশী খাবার দোকানে ইফতারী করতে। এতে করে আর্থিক ভাবে লাভোবান হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।