

পুঠিয়া প্রতিনিধি, মিজানুর রহমান (মিজান) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের দুপাশে সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ দোকান। ফলে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ,আর রোগীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এসব দোকান থেকে প্রতিনিয়ত ডাবের খোসা, পলিথিনসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পাশের ড্রেনে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানি চলাচল। ফলে হালকা বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে হাসপাতালের ভেতরে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বাঘা, চারঘাট, বাগমারা, নাটোর, বাগাতিপাড়া উপজেলা থেকেও অনেকে আসেন চিকিৎসা নিতে। শুধুমাত্র এ সকল দোকানগুলোর কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় সবসময়ই যানজট লেগে থাকে। এতে করে জরুরি রোগী পৌঁছানোয় বিলম্ব হয়। এমনকি সেবা নিতে এসে একাধিকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনারও শিকার হয়েছেন অনেকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ফটকের সামনের একফোঁটা জমিও খালি নেই। যিনি যেমন পেরেছেন তেমন করে দোকান তুলে বসে গেছেন। আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন,‘এসব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ না হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।’ স্থানীয় কয়েকজন দোকানি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা সেখানে ব্যবসা করে আসছেন কেউ বাধা দেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ পেলে তাঁরা নিজ দায়িত্বে দোকান সরিয়ে নেবেন বলেও জানান। তবে ডাবের খোসা ও পলিথিনসহ ময়লা ড্রেনে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন দোকানিরা। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সূচনা মনোহরা বলেন, ‘নোংরা আবর্জনা ফেলে তারা যে ট্রেন বন্ধ করে দেই এটা খুবই বিব্রতকর। উচ্ছেদ আমাদের কাজ না, আমরা প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি দেখি তারা কি ব্যবস্থা নেই’। পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাস বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। আমি তাদের নোটিশ দিতে বলেছি। খুব দ্রুত দখলদারদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন, ‘আজকের মধ্য আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।