মোঃ রায়হান জোমাদ্দার, স্টাফ রিপোর্টার:
নলছিটি পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ড এর খোজাখালি থেকে পুলেরহাট পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ এর দীর্ঘদিনেও সুরাহা না হওয়ায় জনদূর্ভোগ চড়ম আকার ধারণ করেছে,যার ফলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী সূর্য পাশা ফিরোজা কাদের মোল্লা কলেজের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এসময় তারা পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মোঃমানিক হাওলাদারকে পেলে দুই ঘন্টা সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন,পরে মেয়র এর পুনরায় আস্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।স্থানীয় নাগরিকরা জানান রাস্তাটি এক প্রকার মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।এলাবসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির শুরু হওয়া সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ বারবার আস্বাস দিয়েও কাজ শুরু করছে না।একদিকে আসন্ন ঈদের বারতি গাড়ির চাপ এবং আসন্ন বর্ষার আগে রাস্তার কাজ শেষ করা না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে বক্তারা জানান। সরেজমিনে দেখা যায় রাস্তাটি প্রচুর গর্ত আর খাদাখন্দে ভড়া,এক কথায় চলাচলের অযোগ্য। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের চলাচল করতে হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতারা বলেন, যেকোনো মূল্যে রাস্তা সংস্কার করে দিতে হবে অন্যথায় পৌরসভা অবরোধ বা ঘেরাও করার মতন কর্মসূচি দিতে তারা বাধ্য হবেন।অন্তত তিন শতাধিক মানুষ এর অংশগ্রহনে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এলাকার গন্যমান্য অনেকেই।বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সমাজসেবক মোঃমাসুদুর রহমান মোল্লা,সমাজসেবক কবির হোসেন মুন্সি,বালী তাইফুর রহমান তূর্য সহ অনেকেই।
এসময় বক্তারা বলেন, জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়কে মানুষ ভালোবেসে দোয়া করে,কিন্তু এই ঠিকাদার হয়ত তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে হয়ত ষড়যন্ত্রমুলক ভাবেই কাজ বন্ধ করে রেখেছেন।
সামনে জাতীয় নির্বাচন, এসময় ইচ্ছাকৃতভাবে হয়ত নৌকার ভোট কমাতেই তারা জনগণকে এই দূর্ভোগে ফেলে রেখেছেন।রাস্তাটির এই বেহাল দশার কারণে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না, গাড়ির ঝাকুনিতে গর্ভের ভ্রুন নস্ট হয়ে যাচ্ছে।বৃদ্ধরা শহরে যেতে গেলে মৃতপায় হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য রাস্তাটি ২০২০ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের দেয়া বরাদ্দে নলছিটি পৌরসভা দরপত্র আহ্বান করেন এবং কার্যাদেশ প্রদানের পর কিছুদুর আরসিসি কাজও করা হয়েছিল। কিন্তু অজানা কারনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।