১৭ এপ্রিল রোজ রবিবার এক ব্যাক্তি ভাটারা থানাধীন তার মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।
নিখোঁজ ডায়েরি নাম্বার ১২০৩। তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকা হতে ভাটারা থানাদিন এলাকা হতে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথে থানার অফিসার ইনচার্জ জিডি তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন এসআই সৈকত কে।
এসআই সৈকত মেয়ের বাবা কে আশ্বস্ত করেন আমি খুব দ্রুত সময়েই আপনার মেয়েকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এস আই সৈকত।
১৯ এপ্রিল ২০২২, রোজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে তিনি ভিকটিমকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভিকটিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
সংবাদদাতার সাথে কথা বলার সময় এস আই সৈকত জানান- আমার লক্ষ্য একটাই ছিল আমি ভিকটিমকে উদ্ধার করবোই। আমি জিডি কপি হাতে পাওয়ার সাথে সাথে কার্যক্রম শুরু করি এবং একটানা ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম এর পর আমি ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। আমার ফোর্স ও এই উদ্ধার কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন আমার এই কাজ করার পেছনে সবচেয়ে বেশি সাহস যোগান আমার “মা”। আমি যখন এই কাজে বের হই হঠাৎ ঘড়ির কাটায় ইফতার অ্যালার্ম বাজে। সাথে সাথে মা’য়ের কল আমার ফোনে বেজে ওঠে। মা বলে বাবা ইফতার খেতে বাসায় আসবা না ? আমি বললাম মা ভিকটিম উদ্ধার করতে এসেছি। মা বললো ভিকটিম উদ্ধার করে ভালো ভাবে ফিরে আসো এবং সুযোগ করে ইফতার করে নিও। আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শুকরিয়া আদায় করছি।