স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান:
খুলনার দাকোপ উপজেলাটি নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।ভৌগলিকিক দিকদিয়ে তিনটি -বদ্বীপে বিভক্ত এই এলাকার চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে নদী খনন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। প্রচন্ড খরায় নদী খালে পানি শুকিয়ে যাওয়া সহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে প্রতি মৌসুমে ফসল উৎপাদন করতে হয় এলাকার কৃষকদের।জানা যায় সঠিক বাজার ব্যবস্হানা না থাকায় দেরিতে লাগানো সত্তর সতাংশ তরমুজ চাষীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়া জলাধার না থাকায় অনেক কৃষক তাদের চাষ কারকিতকরা জমিতে ঠিকমত পানি দিতে পারেনি।এদিকে এলাকার বড়বড় খাল গুলো বিশেষ করে বাজুয়া ইউনিয়নের চড়া নদী খাল,চুনকুড়ি উত্তরপাড়ার দোয়ানীয়া, ও তালতলাখাল, , এদিকে বানীশন্তা ইউনিয়নের আমতলার খাল,ভোজন খালীর খাল,লাউডোব ইউনিয়নের লাউডোব খাল, কালিকাবাটি খাল,কৈলাশ কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের কালীর খাল,দাকোপ ইউনিয়নের দাকোপীখাল সহ অসংখ্য নদীখাল ভরাট হয়েগেছে।
ঐ এলাকার লোক শুকিয়ে যাওয়া খালের উপর হেটে যাতায়াত করেছে বলে কৃষকরা জানায়। অবিলম্বে খাল খনন না করলে আগামীতে চাষীরা ফসল ফলাতে পারবেনা। তাই অবিলম্বে খালখনন, পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্হা, বাজুয়া এলাকায় তরমুজ প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্হাপন, তিন পোল্ডারে তিনটি হিমাগর নির্মাণ, আধুনিক আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ভর্তুকি মুল্যে সার,বীজ,কীটনাশক প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়ন, তরমুজ মৌসুমে এক মাসের জন্য পোদ্দারগঞ্জ ও পানখালি ঘাটে দুটি অতিরিক্ত ফেরির ব্যবস্হহা করা।পোদ্দারগঞ্জ,পানখালী এবং বরনপাড়াঘাট প্রশস্ত করা সহ ব্রীজ নির্মাণ করা সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃমেহেদী হাসান খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ইতিমধ্যে খাল খননের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি।
,