মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মিলনপুরে বিক্ষোভ মিছিল
আব্দুস সালাম রুবেল স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)-এর শানে কটুক্তির প্রতিবাদে গড়েয়া ইউনিয়ন মিলনপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ মিছিলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় মিলনপুর প্রাণকেন্দ্র।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে মিলনপুর ( হাটপুকুর হাট) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাজারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ ন্যায়। মিলনপুরের ওলামা-মাশায়েখের পক্ষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,
মিলনপুর কেন্দ্রীয় জামে
মসজিদের ইমাম মাওলানা শামীম হোসেন, সমাজ সেবক ও হাই স্কুল শিক্ষক ইয়াছিন আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহাবুদ্দিন হোসেন, মিলনপুর কেন্দ্রীয় (পূর্ব) জামে মসজিদের ইমাম ও ওয়ার্ড মেম্বার মাওলানা আব্দুর রউফ,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, দেউলী নুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহত্তামিম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা টেলিভিশন শোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। সেই সাথে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নুপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেছে। বিশ্ব নবীর শানে কটুক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যে ভারতকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
তারা বলেন, এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে যদি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে তা মানবাধিকার রক্ষায় গুরুতর বিপদ তৈরি এবং অত্যধিক কুসংস্কারসহ প্রান্তিকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যা সহিংসতা ও ঘৃণার চক্র তৈরি করবে। তাই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল মিলনপুর থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কটুক্তিকারী দুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসির দাবি করছি।
তারা আরো বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি না দেয়া হয় তবে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ভারতকে ঘৃণার সাথে বয়কট করবে। ভারতের সকল পণ্য বয়কট করবে। মুসলিম দেশগুলো থেকে ভারতীয় নাগরিকদের তাড়িয়ে দেয়া হবে। সর্বোচ্চ কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে ভারত অভিমুখে লং মার্চ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গড়েয়া ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, গড়েয়া ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ সহ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের ঈমানদার তৌহিদী জনতা।