মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট জেলার জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসিকে ফোন করে রাতের আঁধারে লোকচক্ষুর আড়ালে ত্রাণ সহায়তা পেলো বন্যার্ত পরিবার৷
জৈন্তাপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে দুর্গম বন্যার্ত এলাকা হতে ফোন আসে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদের নিকট৷ ফোনের অপরপ্রান্ত হতে ক্ষুর্ধাত কণ্ঠে চাওয়া হয় ত্রাণ সহায়তা৷ জানানো হয় কারও পক্ষ হতে কোনো ত্রাণ আমরা পাইনি৷ ঘরবাড়ি ফেলে এবং চক্ষু লজ্জার কারণে উঠতে পারিনি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে৷ এছাড়া অনেকেই এমনকি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পাশে যায়নি তাদের৷ সামর্থ্য থাকার পরও জীবনে প্রথমবার বন্যা আক্রান্ত হয়ে সবকিছু বেশামাল হয়ে পড়ে৷ তাই তারা কি করবে কিভাবে খাবে কোনো কিছু করতে পারছিলো না ৷ অবশেষে ক্ষুর্ধাত কণ্ঠে একান্ত বাধ্য হয়ে থানায় ফোন দেয়৷
এদিকে ওসি ফোন পেয়ে সিলেট জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর অনুমতি নিয়ে তার টিম নিয়ে রাতের আঁধারে সেই বন্যার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান৷ সরেজমিনে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের সাথে কথা বলে বন্যার্ত পরিবারটিকে যতেষ্ট পরিমান ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবারের সদস্য বলেন, আমাদের মত মানুষ ত্রাণ সহায়তা চাওয়া কিংবা পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু বন্যার পরিস্থিতিতে আটকা পড়ে একান্ত বাধ্য হয়েই পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে হয়েছে৷ সাহায্য চাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই পানি অতিক্রম করে লোকচক্ষুর আড়ালে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ ত্রাণ নিয়ে হাজির হন৷ আমি ও আমার পরিবার যতেষ্ট খুশি হয়েছি৷ আমি তাদের সাফল্য কামনা করি৷
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, অনেক পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে৷ যদিও তাদের সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু দুর্যোগের কবলে পড়ে তারা কারও কাছে কিছু চাইতে পারছে না৷ তারা সহায়তা পাচ্ছে না৷ অথচ উপজেলার অনেক পরিবার এরকম থাকতে পারে৷ পরিবারটি আমার নিকট সাহায্য চাওয়ায় আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তার পাশে দাঁড়িয়েছি৷ তিনি আরও বলেন, আপনাদের মাধ্যমে উপজেলার বন্যার্তদের জানাচ্ছি কোনো পরিবার যদি সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমাকে ফোন দিলে আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে লোকচক্ষুর আড়ালে সহায়তা পৌঁছে দিবো৷ এবিষয়ে জেলার মান্যবর মানবিক পুলিশ সুপারের বিশেষ অনুমতি রয়েছে পাশাপাশি আমরা প্রস্তুত রয়েছি।