কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গালীরকুটি গ্রামে গত শনিবার (২৫ জুন) মধ্যরাতে আলতাফ হোসেন ফিরোজ (১৮) নামের এক মুদি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার ( ২৭ জুন) কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলো একই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মিলন মিয়া ওরফে দানব (২২) ও মোস্তফা কামালের ছেলে রুবেল হাসান ওরফে রানা।
কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানা পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার (২৬ জুন) তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। পরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার(২৭জুন) সকালে কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়। সেখানে বিজ্ঞ মেজিস্ট্রেটের নিকট ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা।পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দুইজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মিলন মিয়া ওরফে দানব পুলিশকে জানায়, তার সাথে একই গ্রামের স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ের (তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ) সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তার। কিছুদিন হলো স্কুলে যাওয়া আসার পথে সেই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিলো ফিরোজ। একাধিকবার নিষেধ করা সত্বেও পুন:রায় বিরক্ত করছিলো সে। এই কারণে ফিরোজকে শাসানোর জন্য ওই রাতে ফিরোজ দোকান থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে জোনাব আলীর বাঁশ ঝাড়ের সন্নিকটে তার পথ গতিরোধ করে কয়েকজনের একটি দল ইউক্লিপ্টাস গাছের ডাল নিয়ে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে। মুলত প্রাথমিকভাবে তার (মিলনের) প্রেমিকাকে বিরক্ত না করার জন্য ফিরোজকে শাসানোর উদ্দেশ্য ছিলো তাদের। আরো জানায়, মিলনসহ অন্যান্যরা ডাল দিয়ে ফিরোজের দেহে আঘাত করতে গেলে ফিরোজ মাথা নিচু করে। এসময় অন্তত তিনটি ডালের বাড়ি তার (ফিরোজ) মাথায় পড়ে। ডালের আঘাতে মাথা ফেটে মগজ বেড়িয়ে ঘটনাস্থলেই ফিরোজের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কচাকাটা থানা পুলিশ ওই রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং রবিবার ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠান।কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, ফিরোজ হত্যার প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজন তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। এ হত্যার সাথে আরও যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।